নিউজ ডেস্ক: ঈদ শেষে রাজধানী ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। আর ঘরে ফিরেই নিত্যদিনের চাহিদা পূরণে কেনাকাটার জন্য ছুটছেন বাজারে। তাই গত দু’দিনের চেয়ে শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দু’দিনের তুলনায় শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। রমজান শেষে সবজির দাম কমলেও বেড়েছে মাছের দাম। তবে মাংসের দাম স্থিতিশীল। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় টমেটোর দাম সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, রমজানে যেখানে বেগুনের কেজি প্রতি মূল্য ছিল ৬০ টাকা, এখন তা কমে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শশা ৩৫ টাকা থেকে কমে ২৫ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ টাকা থেকে কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলু কেজি প্রতি ২৫ টাকায়, চিচিঙ্গা ২০ টাকায়, কাঁচামরিচ ১২০ টাকায়, লেবু হালি ২০ টাকা, করল্লা ৪০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, ডাঁটা শাক ১০ টাকা, পাটশাক ৮ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, পিঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন (দেশি) ৮০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৪০ টাকা, আদা ১৬০ টাকা, হলুদ ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া চিনি ৪৫ টাকা, মসুর ডাল দেশি ১০০ টাকা, ভারতীয় ৮০ টাকা, মুগ ডাল ১০৫ টাকা,অ্যাংকার ডাল ৪৬ টাকা, বুটের ডাল ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেল ৫ লিটার ৫৪০ টাকা, সরিষার তেল এক লিটার ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, সবজির দাম কমলেও মাংসের বাজার রয়েছে আগের মতোই। গরুর মাংস কেজি প্রতি ২৮০-৩০০ টাকায়, খাসির মাংস ৪৫০ টাকায়, গরুর কলিজা ২৫০ টাকায়, গরুর মগজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
জুরাইন বাজারে ইলিশ মাছের দামদর করছিলেন মোহাম্মদ আমিনুল। দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভাই সামনেও যাওয়া যাচ্ছে না। দুইটা ইলিশ ১৬০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছে, ১৪০০ পর্যন্ত বলেছি, তারপরও দিচ্ছে না।
রুই মাছ কেজি প্রতি ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ টাকা,বোয়াল মাছ ৩৫০ টাকা, বাইল্যা ৫৫০ টাকা, শিং ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, আলুর পাল্লা (৫ কেজি) ১০০ টাকা, টমেটো ৮০০-৯০০ টাকা, শশা (পাল্লা) ৮০ টাকা, করল্লা ১২০ টাকা,ধুন্দুল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, উস্তা ১২০ টাকা, পিঁয়াজ (পাল্লা) ১৮০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, লালশাক ৬০ টাকা,পটল ১০০ টাকা, মরিচ (পাল্লা) ৪০০ টাকা, ধনেপাতা (পাল্লা) ৬০০ টাকা,কাকরোল ৫০ টাকা, আদা ৬০০ টাকা পাল্লা বিক্রি হচ্ছে।
তবে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে বাজার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।