আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ভারতের মোদি সরকার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য অ্যাকশন প্ল্যান চূড়ান্ত করেছে। একথা জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরণ রিজেজু।
গত সপ্তাহেই সংসদে রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরণ রিজেজু জানিয়েছেন যে, অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি মনিটরিং অথরিটি গঠন করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরও জানিয়েচেন, দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দেয়া ২০০৫ সালের নির্দেশের ভিত্তিতে সরকার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের আটক করা এবং ফেরত পাঠানোর জন্য অ্যাকশন তৈরি করে তা চূড়ান্ত করেছে।
সম্প্রতি দিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব রাজ্যের নোডাল অফিসারদের সঙ্গে এক বৈঠকে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকে অবৈধ বাংলাদেশীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি প্রকৃত ভিসা নিয়ে এসেও যারা থেকে গিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। এজন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর চিহ্নিত সেই সব অবৈধ বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠানোর আগে পর্যন্ত রাখার জন্য সব রাজ্যে ডিটেনশন তৈরির নির্দেশ দ্রুত কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
এজন্য রাজ্যগুলিতেই অর্থ খরচ করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে আসামে তিনটি, দিল্লিতে ২টি এবং পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাটে ১টি করে ডিটেনশন সেন্টার রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছ্,ে প্রত্যেক রাজ্যে বাংলাদেশীদের জন্য ডিটেনশন সেন্টার থাকার ব্যাপারে রাজ্যগুলি একমত হয়েছে। এই ডিটেনশন সেন্টারগুলি অবশ্য জেলের মতো হবে না বলে জানানো হয়েছে। এগুলিতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে। বলা হয়েছে, জেলে থাকার মেয়াদ শেশ হওয়া ও ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার মধ্যে অনেকটা সময় লেগে যায়। এই সময়টা বাংলাদেশীদের রাখা হবে ডিটেনশন সেন্টারে।
সরকারি এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত বছরে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরও ভারতে থেকে যাওয়া ৫ হাজার ২৩৪ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে অবৈধভাবে সীমান্তের অরক্ষিত অঞ্চল দিয়ে কত বাংলাদেশি ভারতে এসেছেন তার সঠিক কোনও পরিসংখ্যান ভারত সরকারের কাছে নেই। তবে সরকারের অনুমান সংখ্যাটি প্রায় দেড় কোটির কাছাকাছি।