আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক:স্কুলে না যাওয়ায় প্রথমে মেয়ের হাত-পা বাঁধেন বাবা। এরপর তাকে মোটরসাইকেলের সঙ্গে বেঁধে স্কুলে নিয়ে যান তিনি। ছবিটি এক পথচারী তুলেছেন। স্কুলে পরীক্ষা। কিন্তু কিছুতেই স্কুলে যেতে রাজি নয় মেয়ে। তাই বলে মেয়েকে মোটরসাইকেলের সঙ্গে বেঁধে স্কুলে নিয়ে যাওয়া!
গত শুক্রবার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মথুরা জেলার একটি গ্রামে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। এক পথচারীর তোলা সেই ছবি প্রকাশ হওয়ার পর স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে এ নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়। এর জন্য ৪০ বছর বয়সী সেই বাবাকে জেলও খাটতে হয়েছে। দুই ছেলে ও তিন মেয়ের এই পিতা একটি বেসরকারি স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন মেয়েদের শিক্ষার জন্য দেশজুড়ে প্রচার চালাচ্ছেন তখনই এ ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানায়, মেয়েকে অনেক চেষ্টা করেও রাজি করাতে পারেননি বাবা। সেদিন তার পরীক্ষা ছিল। এক পর্যায়ে বাবা ক্ষেপে গিয়ে মেয়েকে মোটরসাইকেলের পেছনের আসনের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে স্কুলে নিয়ে যান।
মথুরার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট শৈলেস পান্ডে বিবিসিকে বলেন, শান্তি ভঙের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন ওই বাবা। তাঁকে এক দিনের জন্য কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।
তবে সেই বাবা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমি যদি আমার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাই , তাহলে সে মরে যাবে না। কিন্তু সে যদি পড়াশোনা না করে, তাহলে সে নিশ্চিত মারা যাবে।’
ভারতে বর্তমানে নারী শিক্ষার হার ৬৪ শতাংশ। আর পুরুষদের ৮১ শতাংশ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মেয়েদের পড়াশোনা করাতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। ভারতের গ্রামাঞ্চলগুলোতে এখনো অনেক বাবা-মা মনে করেন মেয়েদের পড়াশোনার প্রয়োজন নেই।