অন্যকিছু ডেস্ক: ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক মৃত্যুর পর একজন মুসলিমের লাশ কবরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু ঝালকাঠির প্রত্যন্ত একটি গ্রামে প্রায় ৩শ’ পরিবার শতবছর ধরে নিজেদের ঘরেই দাফন করছে স্বজনদের লাশ। জমির অভাব এবং সামাজিক বৈষম্যে অদ্ভুত এক জনপদে পরিণত হয়েছে এলাকাটি।
ঘরের আঙিনা থেকে উঠোন, এমনকি শোবার ঘরের মেঝেতে, যত্রতত্র মৃত ব্যক্তির কবর। খুব অদ্ভুত শোনালেও পূর্ব পুরুষের কবরের সাথেই নিত্য বসবাস ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের সরদার পাড়ার বাসিন্দাদের।
দীর্ঘদিন ধরে মৎস্যজীবী নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এক খণ্ড জমির অভাবে প্রিয়জনকে দাফন করছেন নিজের ঘরেই। বিস্ময়করভাবে কারও কারও আঙিনায় দেখা মেলে একাধিক কবরের।
মূলতঃ হলতা নদীর পারের এই মৎস্যজীবীরা শত শত বছর আগে ছিলো বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রায় ১শ’ বছর আগে একযোগে সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বসবাস শুরু করেন এই সরদার পাড়ায়। সে সময় সামাজিক বৈষম্যের কারণে স্থানীয় গোরস্থানে কবর দেয়া হতো না সরদার পাড়ার কারও মরদেহ। তখন থেকেই স্বজনদের লাশ আঙিনায় কবর দেয়ার রেওয়াজ চালু হয় গ্রামটিতে।