শরীর স্বাস্থ্য ডেস্ক: এইচআইভি ও এইডস প্রতিরোধী একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন প্রফেসর মহুয়া চৌধুরী। তিনি ও টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটিতে তার গবেষক দল উদ্ভাবন করেছেন একটি সুপার কনডম।
এতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট। যদি এ কনডম ফেটে যায় তাহলে ভয় নেই। কারণ, এতে ক্ষতিকর ভাইরাস খতম করবে এই এন্টিঅক্সিডেন্ট। হাইড্রোজেল নামের একটি ইলাস্টিক পলিমার থেকে তৈরি হয়েছে এই কনডম। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গাছ থেকে আহরিত এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা এইচআইভির বিরুদ্ধে লড়াই করে। বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মহুয়া চৌধুরী টেক্সাস এ অ্যান্ড এম হেলথ সায়েন্স সেন্টারের ইরমা লারমা র্যাঞ্জেল কলেজ অব ফার্মাসির সহকারী প্রফেসর। তিনি বলেছেন, এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কনডমই আমরা শুধু উৎপাদন করছি তা-ই নয়, একই সঙ্গে সম্ভব হলে আমরা এই সংক্রমণকে চিরবিদায় জানাতে চাই।
তিনি বলেন, এই সুপার কনডম এইচআইভির সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। একই সঙ্গে এটা অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ বন্ধ করবে। যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণরোধে কাজ করবে। যদি এক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সফল হই তাহলে এইচআইভি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটা হবে একটি বিপ্লব। মহুয়া চৌধুরী পড়াশোনা করেছেন মলিকিউলার বায়োলজি, বায়োফিজিক্স ও জেনিটিকস।
যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করার আগে এসব বিষয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন ভারতে। গবেষণা করেছেন ডায়াবেটিস নিয়ে ও স্থুলকায় শরীর নিয়ে। বিল অ্যান্ড মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন যে ৫৪ জন মানুষকে গ্রান্ড চ্যালেঞ্জ ইন গ্লোবাল হেলথ পুরষ্কার দিয়েছে তার মধ্যে তিনি একজন। তিনি এবার যে আবিষ্কারের কথা বলছেন তার ফলে তার ঝুলিতে এর চেয়েও বড় কোন পুরস্কার জুটে যেতে পারে।
গবেষকরা বলছে, এই কনডমটি ব্যবহার হবে, যেহেতু এতে এইচআইভি প্রতিরোধী ব্যবস্থা আছে। এতে যে ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে তা অধিকতর স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং যৌন জীবনকে করবে আনন্দময়। এরই মধ্যে এ কনডম তৈরি করা হয়েছে। এর প্রাকটিক্যাল ব্যবহার শেষেই বাজারে ছাড়ার কথা। তবে তাতে আর মাত্র ছয় মাস সময় লাগতে পারে। উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে ধরা পড়ার পর এ পর্যন্ত বিশ্বে এইচআইভি সংক্রমণে মারা গেছেন ৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষ।