শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ফিলিপাইনের ক্যাসিনো বস কিম ওং বললেন, আমার একাউন্টে কোথা থেকে টাকা এসেছে তা আমার কাছে জানতে চাইবেন না। তিনি বলেন, ক্যাসিনোতে আমরা সব সময়ই একটা কথা বলে থাকি। তা হলো- কথার আগে তোমার টাকা দেখাও।
শুক্রবার তিনি এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই টাকার উৎস?
জবাবে কিম ওং বলেন, এ কথা জিজ্ঞেস করবেন না। এটা অপমানজনক। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাজকোষ চুরিতে বহুল আলোচিত নাম কিম ওং। ইতিমধ্যে সিনেট ব্লু রিবন কমিটির শুনানিতে তিনি এ দুর্নীতি থেকে তার ভাগে পাওয়া অর্থের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ সময়ে তিনি দু’জন চীনা নাগরিকের নাম প্রকাশ করলেও তাদেরকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয় নি।
তারা এখন ফিলিপাইনের ভিতরে অবস্থান করছেন কিনা তাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। কিম ওং কিভাবে ক্যাসিনো বসে পরিণত হয়েছেন তা নিজেই বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ফিলিপাইনে শক্তিধর সব রাজনীতিবিদদের সঙ্গে রয়েছে তার সখ্য। তার মধ্যে দু’জন আছেন এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী। কিম ওং বলেছেন, শৈশবেই হংকং থেকে তিনি ফিলিপাইনে পাড়ি জমান। এখানে এসেই আস্তে আস্তে ধনী হতে থাকেন। বাড়ে তার বন্ধুবান্ধব।
তিনি বলেছেন, তার বয়স যখন ১১ বছর তখনই তার মা তাকে নিয়ে যান ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায়। এখনও তার রয়েছে চীনা পাসপোর্ট। কিম ওং বলেছেন, তার আসল নাম হলো কাম সিন ওং। বসবাস করেন পিতার সঙ্গে ম্যানিলায়। সেখানে তার পিতা এক ধনী আত্মীয়ের তামাক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কলেজের পড়া বাদ দেয়ার পর সেখানে কাজ করেছেন কিম ওং-ও। তার এক আত্মীয়র মালিকানাধীন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
এরপর কিম ওং টি-শার্ট কারখানা খোলেন। ম্যানিলায় খোলেন বেশ কিছু রেস্তোরাঁ। এ সময়ে তার বন্ধবান্ধবের পরিধির বিস্তার লাভ করে। অংশীদারদের নিয়ে তিনি সংগ্রহ করেন ১০০ কোটি পেসো। তা দিয়ে দাঁড় করান ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি। এখানে এখন কাজ করে স্থানীয় কমপক্ষে এক হাজার স্টাফ। এর বাইরে রয়েছৈন ৩০০ চীনা নাগরিক। তারা টেলিফোনে জুয়াড়িতের বাজি গ্রহণ করেন।
কিম ওংয়ের সঙ্গে যেসব রাজনীতিকের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠে তার মধ্যে অন্যতম চীনা বংশোদ্ভূত ফিলিপিনো ও ম্যানিলার সাবেক মেয়র আলফ্রেডো লিম। তিনি পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। আরেকজন লিটো আতিয়েনজা। তিনি কিম ওংকে কঠোর পরিশ্রমী বলে আখ্যায়িত করেন। সাবেক সিনেটর ও পুলিশ প্রধান প্যানফিলো ল্যাকসনও প্রশংসা করেছেন কিম ওংয়ের। তিনি বলেন, আমার অনেক বন্ধুর মধ্যে কিম অন্যতম।