আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ভারতের ভয়াবহ খরার শিকার হচ্ছে তেত্রিশ কোটি মানুষ যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। অনেক রাজ্যের পানির জলাধার আর কুয়োগুলো শুকিয়ে গেছে। জরুরী তহবিল বরাদ্দ করে পরিস্থিতি সামলানেরা চেষ্টা করছে সরকার।
তারই অংশ হিসাবে খরা পীড়িত একটি জেলা লাতুরে পানি নিয়ে একটি রওনা হচ্ছে একটি বিশেষ ট্রেন। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের একটি খরা পীড়িত জেলায় একটি গ্রামে গিয়ে বিবিসির সংবাদদাতা দেখতে পান গ্রামটির পানির একমাত্র উৎস, একটি কুয়ার পানির স্তর এত নীচে নেমে গেছে যে, নিজেদের পাত্রগুলো ভরতে প্রতিদিন এখানকার মেয়েদের এটির নেচে নেমে যেতে হয়।তার চেয়েও কষ্টকর ব্যাপার হলো, ভারি পানির কলসগুলো নিয়ে পিচ্ছিল পাথর বেয়ে বেয়ে তাদেরে আবার উঠে আসতে হয়।
এই এলাকার অনেক কুয়া এর মধ্যেই শুকিয়ে গেছে। দুই বছর ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় এই এলাকার লাখ লাখ বাসিন্দা সংকটে পড়েছে, শুধু মানুষই নয়, পশু প্রাণীও।
প্রচণ্ড তাপ আর খরা থেকে বাচাতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু খামার তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কৃষকরা তাদের পশু প্রাণীগুলো নিয়ে আসতে পারেন। পরিস্থিতি সামলাতে প্রায় তিনশ কিলোমিটার দুরের এলাকা থেকে পানি নিয়ে আসছে বিশেষ ট্রেনগুলো।একটি গভীর কুয়ায় পাইপ থেকে পানি নামিয়ে রাখা হচ্ছে।
সরকারিভাবে পরিশোধন করার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে প্রতি চারদিনে একবার, এই পানি দেয়া হবে। এনজিও কর্মী পরিনীতা দান্ডেকর বলছেন, এটাই হয়তো সরকারের শেষ চেষ্টা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ বছর স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু সেজন্য আরো অন্তত দুইটি শুষ্ক মাস সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।হাজার হাজার পরিবার তাদের গ্রামের ঘরবাড়ি ফেলে শহরে আশ্রয় নিতে চলে গেছে। যারা এখনো এখানে রয়ে গেছে, প্রতিটি দিনই তাদের জন্য কষ্টের।