বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৬:৩৫

রাত হলেই তারা নিথর

রাত হলেই তারা নিথর

শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: দিনে দিব্যি ছুটোছুটি করে বেড়ায় ওরা। কাজকর্ম সব স্বাভাবিক। কিন্তু রাত নামলেই শিশু দুটি নিথর বনে যায়। ওদের মধ্যে কোনো বোধশক্তি তখন আর কাজ করে না। অর্থাৎ, দিনের আলোতে ওরা সক্রিয়, আর সূর্য ডুবলেই নিষ্ক্রিয়। এ কারণে স্থানীয় লোকজন শিশু দুটির নাম দিয়েছে সোলার কিডস।

সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটার একটি গ্রামে রয়েছে এই ‘সোলার কিডস’ বা ‘সৌরশিশু’। শোয়ায়েব আহমেদ (১৩) ও আবদুল রাশিদ (৯) নামের শিশু দুটি মোহাম্মদ হাশিমের ছেলে। এই দুই ভাইয়ের জীবন পুরোটাই সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। দিনের আলোয় তারা অন্য বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে, দৌড়ঝাঁপ করে বেড়ায়। তখন অন্য মানুষের মতো স্বাভাবিক তারা। কিন্তু রাত হলেই সবকিছু অন্য রকম হয়ে যায়। এ সময় তাদের শরীরের সব ক্ষমতা যেন শেষ হয়ে যায়। সূর্যের আলো ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়ানো, কথা বলা, খাওয়াদাওয়া কিছুই করতে পারে না এই দুই ভাই।

এমনকি চোখ দুটো খোলা রেখে কিছু দেখার ক্ষমতাও থাকে না। একদম ‘পাথরের’ মতো স্থির হয়ে যায় তারা। যেখানেই সূর্য ডোবে, সেখানেই তারা স্থির। পরে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হয়। পরদিন আবার সূর্য উঠলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরে তারা।

কী কারণে দুই ভাইয়ের জীবনে বিস্ময় এই ঘটনা ঘটে, এর কোনো কারণ জানাতে পারেননি দেশটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। দারিদ্র্যের কারণে বাবা হাশিম তেমন চিকিৎসাও করাতে পারেননি। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বর্তমানে সরকারি খরচে শোয়ায়েব ও রাশিদের চিকিৎসা চলছে। দুজনকে ইসলামাবাদে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে (পিআইএমএস) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ওই দুই শিশুর শরীর থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ওই দুই শিশুর গ্রামের মাটি ও বাতাসের নমুনা সংগ্রহ গবেষণা করছেন গবেষকেরা।

তবে পিআইএমএসের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক জাভেদ আকরাম বলেছেন, ‘সূর্য ডোবার সঙ্গে কী কারণে ওই শিশুদের জীবনে এমন অস্বাভাবিকতা নেমে আসে, তা এখনো জানা যায়নি। আমরা এই বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমাদের চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025