শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: দ্য সিজিটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির ১৯ টি পরমাণু কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি তাদের কাজ একদিন বন্ধ রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে। বর্তমানে ফ্রান্সের কাছে চার মাস চলার মত তেল মজুদ আছে।
দেশটির শ্রম সংস্কার আইনের বিরোধীতায় চলা আন্দোলনে বৃহস্পতিবার থেকে অংশ নেয় তারা। ফ্রান্সে শ্রমিক আন্দোলনে শামিল হচ্ছে দেশটির পরমাণু শক্তি প্লান্টের শ্রমিকেরা।
ফ্রান্সের সরকার জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা দেশের তেল শোধনাগারের সামনে অবরোধ চালু রাখায় কৌশলগত ভাবে কিছু তেল মজুদে রাখছে সরকার, যাতে করে কলকারখানা চালু থাকে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কোস হল্যান্ড বুধবার এক বিবৃতিতে জানান, ফ্রান্সের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য কোন কিছু সরবরাহ যেন বন্ধ না হয়, তার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
এদিকে একদিন কাজ বন্ধ রাখার ফলে দেশের কাজে কি প্রভাব পরবে সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় শক্তি বিষয়ক কোম্পানি ইলেক্ট্রেসিটি দে ফ্রান্স। এই সকল পরমাণু প্লান্ট থেকে দেশটির ৭৫ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। মে মাসে ফ্রান্স সরকার তাদের বিতর্কিত শ্রম আইন পার্লামেন্টের মাধ্যমে কার্যকর করে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো।
এদিকে আন্দোলনের কারণে দেশটির ৮টি তেল শোধনাগারের মধ্যে ৬টি বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার একটি তেল শোধনাগারের সামনে আন্দোলনকারীরা অবরোধ শুরু করলে স্থানীয় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর আরো তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে আন্দোলনকারীরা আমদানি করা তেল খালাস করতে দিচ্ছে না বন্দর থেকে।
দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী অ্যালেইন ভিদালিস বলেন, প্যারিসের ৪০ ভাগ পেট্রোল স্টেশন এখন তেল সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। সেই সঙ্গে তেল পাওয়া যাবে না এই ভয় থেকে মানুষ অতিরিক্ত তেল মজুদ করে রাখছে।