বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪১

কিলবার্নের পুরনো দিনের স্মৃতিচারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা

কিলবার্নের পুরনো দিনের স্মৃতিচারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শীর্ষবিন্দু নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র বোনকে সচরাচর গণমাধ্যমের সামনে আসতে দেখা না গেলেও লন্ডনে বৃহস্পতিবার মেয়ের সঙ্গে এসে লন্ডনের কিলবার্নের পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করলেন উপস্থিত সাংবাদিকেদের কাছে।

লন্ডনের যে আসনটিতে টিউলিপ সিদ্দিক নির্বাচন করতে যাচ্ছেন, মেয়ের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই এলাকা নিয়ে স্মৃতিকাতর হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা। যুক্তরাজ্যের আগামী নির্বাচনে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিশ্চিত করা টিউলিপই বলে ওঠেন কিলবার্ন নিয়ে নিজের স্মৃতি এবং সেই সঙ্গে মায়েরও। কিলবার্নের একটি রেস্তোরাঁয় ওই সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের পক্ষে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি পঁচাত্তরের ট্রাজেডির পর কিলবার্নে থাকার স্মৃতিও উঠে আসে রেহানার কথায়ও।

এ সময় টিউলিপ বলেন, আপনার এটা নাও জানতে পারেন। ১৯৭৫ এর পর বাংলাদেশে পুরো পরিবার যখন মারা গেলেন, আমার মা এখানে এসেছিলেন। জাস্ট এই রাস্তার পাশের রাস্তায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন জার্মানিতে। এরপর ছোট বোন শেখ রেহানার নির্বাসিত জীবনের প্রায় পুরোটাই কাটে লন্ডনে। কীভাবে কেটেছিল সেই দিনগুলো, তা উঠে আসে আজকের প্রধানমন্ত্রীরে বোনের শেখ রেহানার কথায়।

অনেকটা আবেগ্লাপুত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, হাত দিয়ে দেখিয়ে বলেন এই রাস্তা দিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আমি চাকরি খুঁজতে বেরুতাম। কারণ আমার থাকার জায়গা ছিল না। খাওয়ার কিছু ছিল না। কোথায় যাব, কী করব? ১৯৭৭ সালে কিলবার্নেই ড. শফিক সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ রেহানার। এর আশপাশ অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। সেটা অনেক বছর আগের কথা। এখনকার অবস্থা দেখে বলেন তিনি।

মা শেখ রেহানা বলেন, ও নিজস্ব প্রচেষ্টায় এত দূর এসেছে। এখানে আমার কোনো সাহায্য নেই। অমুকের ভাগনি, অমুকের মেয়ে কিছুই না। এটা তার নিজের যোগ্যতায়, নিজের কর্মফল। আপনারা ওকে দোয়া করবেন, যেন নানার নাম রাখতে পারে। ওর নানা বলতেন, পৃথিবীতে যেখানে অসহায় মানুষ আছে, মানুষ মানুষকে সাহায্য করবে। তাহলেই মানুষ মনের শান্তি পাবে এবং তিনি নিজেও শান্তি পাবেন,” বাবা বঙ্গবন্ধুর কথাও আসে তার কণ্ঠে।

মেযের ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে মা শেখ রেহানা বলেন, ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে আমি বসতাম। পাশেই ছোট বাচ্চাদের, প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের একটা ইউনিট ছিল। তো হঠাৎ ওকে খুঁজে পাচ্ছি না। দেখি ও সেখানে গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে .. তাদেরকে রাইমস পড়াচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই ও (টিউলিপ) অন্য লোকের, অন্য জনের সেবা করার জন্য, সেই নীতিতেই সে বিশ্বাসী। রাজনীতির জটিল পথে পা রাখা মেয়ে যেন সব কিছু সামলে উঠতে পারে, সে জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন শেখ রেহানা। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমি দোয়া চাই, ওর জন্য। সব রকম সাহায্য সহযোগিতা আপনারা করবেন।

সদ্য বিবাহিত মেয়ে টিউলিপ তার স্বামী ক্রিস্টিয়ান পার্সিকে নিয়ে কিলবার্নেই থাকেন। সব কিছু মিলিয়ে তারও পছন্দের এলাকা এটি। টিউলিপ জানালেন, অনেকে জিজ্ঞাস করে, তুমি এখানে দাঁড়ালে কেন। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নে। আমি তো বড় হয়েছি হ্যাম্পস্টেড কিলবার্ন এলাকায়। আমি এখানে স্কুলে পড়ছি, এখানে আমি আমার হাসবেন্ডের সঙ্গে থাকি। হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টির মনোনয়ন গত রোববার নিশ্চিত করেন টিউলিপ। প্রতিদ্বন্দ্বী দুজনকে হারিয়ে অভ্যন্তরীণ ভোটাভুটিতে জয়ী হন ৩১ বছর বয়সি টিউলিপ।

 

[youtube id=”S8eQ6xxcYXE” width=”600″ height=”350″]

 

[youtube id=”b1apUWDRWvo” width=”600″ height=”350″]

 

[youtube id=”k8MYeCHjllQ” width=”600″ height=”350″]

 

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024