শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: গত শনিবার বাংলাদেশি এক ইমাম ও তাঁর সহকারী বন্দুকধারীর হাতে নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের মেয়র বিল দে ব্লাসিও াভিযোগ করে বলেন মুসলমানরা ধর্মান্ধতার লক্ষ্যবস্তু। আর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মুসলিম বিদ্বেষ ছাড়চ্ছে কেবল ট্রাম্পের বক্তব্যের কারনে।
রোববার স্থানীয় সময়ে এক বিবৃতিতে মেয়র বলেন, মাওলানা আকুঞ্জি ও তারা মিঞাকে হত্যার পেছনের কারণ সম্পর্কে আমরা এখনো জানি না। আমরা জানি যে মুসলমান কমিউনিটি ধর্মান্ধতার ধারাবাহিক লক্ষ্যবস্তু।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনওয়াই ডেইলি নিউজ বাংলাদেশি ইমাম ও তাঁর সহকারী হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে। সিটিটিভির ভিডিওতে দেখা যায়, দীর্ঘ সাদা পোশাক পরিহিত বাংলাদেশি ইমাম ও তাঁর সহকারী হাঁটছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি তাঁদের পেছনে ধেয়ে আসে এবং দুজনেরই মাথায় গুলি করে। পরে দ্রুত পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি।
বিক্ষোভকারী অনেকে একে বিদ্বেষমূলক হামলা বলে দাবি করেন। আর এমন হামলার জন্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিমূলক বক্তব্যকে দায়ী করেন।
স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনো এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি তারা। আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় গত শনিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্কের ওজোন পার্কের কুইন্স এলাকার অংশে পেছন থেকে গুলি করে বাংলাদেশি ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আকুঞ্জি (৫৫) ও তাঁর সহকারী তারা মিঞাকে (৬৪) হত্যা করা হয়। জোহরের নামাজ শেষে কুইন্সের আল-ফুরকান জামে মসজিদ থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে বন্দুক হাতে পালিয়ে যেতে দেখেন। ইমাম আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা মিঞার মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বর্ণনা নিয়ে হত্যাকারীর স্কেচ তৈরি করেছে পুলিশ। ওই স্কেচসংবলিত পোস্টার নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো হয়েছে।