বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১০

মরণব্যাধী ক্যান্সারকে হারিয়ে নতুন জীবন পাওয়া বিখ্যাত তারকারা

মরণব্যাধী ক্যান্সারকে হারিয়ে নতুন জীবন পাওয়া বিখ্যাত তারকারা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মরণব্যাধী ক্যানসারের কাছে তারকা কিংবা প্রভাবশালী কেউ কারোই রেহাই নেই। সে যাকে ধরে টেনে মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্ত নিয়ে যায়। তার হাত থেকে বেচে ফেরার লড়াইটা যে অনেক বড় তা সবারই জানা। ক্যানসারকে পরজিত করে আবার জ্বলে ওঠা তারকাদের খবর শীর্ষবিন্দু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো এ প্রতিবেদনে।‌

কাইল মিনগ: বলিউড তাকে চেনে চিগি-উইগি গার্ল হিসেবে। তিনি কাইল মিনগ। অক্ষয় কুমারের সঙ্গে “ব্লু” সিনেমায় দেখা গেছে লাস্যময়ী এই অস্ট্রেলিয়ান পপ গায়িকাকে। দু’হাজার পাঁচে কনসার্ট ট্যুর চলার মাঝেই পেয়েছিলেন ক্যানসারের খবরটা। ভেঙে পড়েননি। হেরেও যাননি। চিকিত্‍সার পর আবার মঞ্চ মেতেছে তার নাচে গানে।

বারবারা মোরি: কাইটস সিনেমায় হৃতিক রোশনের উল্টোদিকে দেখেছিলাম বারবারা মোরিকে। তাঁর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর হয়তো অনেকেই জানেন না। দীর্ঘদিনের লড়াই আর হার না মানার জেদ, দুয়ের ওপর ভর করেই ক্যানসারকে জীবন থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন এই অভিনেত্রীও।

মনিষা কৈরালা: ক্যানসারে আক্রান্তর কারণে বলিউডের এই সুন্দরী নায়িকাকে প্রায় হারাতে বসেছিলো সবাই। কিন্তু হারাতে পারেনি তার জীবনীশক্তিকে। গত বছর জরায়ুর ক্যানসার ধরা পড়ার পরই চিকিত্‍সা শুরু হয়ে যায়। ৪২ বছরের এই অভিনেত্রী এখন বলিউডে কামব্যাকের অপেক্ষায়। অনুরাগ বসু: তার তৈরি বরফি আমাদের সবার পছন্দ। কিন্তু ক্যানসারের সামনে যদি হার মেনে নিতেন অনুরাগ বসু, তা হলে কি ‘বরফি’ দেখা হতো ? কিংবা `লাইফ ইন এ মেট্রো`-র মতো সিনেমা? ২০০৪-এ ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ার সময় চিকিত্‍সকরা জানিয়েছিলেন, বাঁচার আশা মাত্র ৫০ ভাগ। কিন্তু অনুরাগের বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা যে ছিল শতভাগ। হার মেনে তাই ফিরে গেল কর্কট রোগ।

যুবরাজ সিং: ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাতে গিয়ে বহুদিন ক্রিকেটের বাইশ গজের বাইরে থাকতে হয়েছে। হতাশাও এসেছে। কিন্তু কাবু করতে পারেনি। জীবনযুদ্ধে জয়ী যুবা এখন আবার হাজির টিম ইন্ডিয়ায়। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সেইসব দিন নিয়ে লিখে ফেলেছেন একটি বইও। বইয়ের নাম ‘দ্য টেস্ট অফ মাই লাইফ’।

জিওফ্রে বওকট: ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জিওফ্রে বওকটের ক্যানসার ধরা পড়েছিল ২০০২ এ। গলায় চার-চারটি টিউমার। ৩৫টি রেডিওথেরাপি সেশনের পর তিনি হার মানান এই মারণরোগকে। ফিরেও আসেন ধারাভাষ্যকারের চেয়ারে। লান্স আর্মস্ট্রং: লড়াইয়ের আরেক নাম লান্স আর্মস্ট্রং। ১৯৯৬ এ ক্যানসার ধরা পড়েছিল অ্যাডভান্স স্টেজে। বাঁচার আশা ছিল মাত্র ৪০ ভাগ। কিন্তু রেকর্ডবার ‘ত্যুর দ্য ফ্রঁস’ জয়ী এই সাইক্লিস্ট লড়াইয়ের রাস্তা থেকে পিছিয়ে আসেননি। এক বছরের মধ্যে সেরে ওঠেন পুরোপুরি।

মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা: স্তনের ক্যানসার ধরা পড়ার পর প্রথমটায় খানিকটা ভেঙেই পড়েছিলেন টেনিস কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। তবে তা কাটিয়ে উঠে লড়াইয়ের পথ বেছে নেন তিনি। এরিক আবিদাল: বার্সেলোনার ফুটবলার এরিক আবিদালের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছিল ক্লাবসূত্রেই। লিভার প্রতিস্থাপনের পর এখন তিনি স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন ফুটবল মাঠে।

লিজা রে: লিজা রে মডেল, অভিনেত্রী। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধটা চালিয়েছেন নিঃশব্দে, আড়ালে থেকেই। যুদ্ধজয়ের পর মুখ খুললেন নিজের লড়াই নিয়ে। শেখালেন পজিটিভ আচরন কী ভাবে বদলে দিতে পারে জীবন। কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায় মৃত্যুকেও।

 

ক্রিস্টিনা অ্যাপলগেটে: জনপ্রিয় টেলি-সিরিয়াল ফ্রেন্ডস’র অ্যামি গ্রিন সবার পরিচিত। চরিত্রটি যিনি জীবন্ত করে তুলেছিলেন সেই ক্রিস্টিনা অ্যাপলগেটের জীবনে কিন্তু কম ঝড়ঝাপটা আসেনি। দুহাজার আটে স্তনের ক্যানসার ধরা পড়ার পর চিকিত্‍সায় বাদ দিতে হয়েছে দুটি স্তনই। কিন্তু সমূলে উত্‍খাত করেছেন ক্যানসারকে।

মমতাজ: বিখ্যাত অভিনেত্রী মমতাজের জীবনেও থাবা বসিয়েছিল এই মারণরোগ। কিন্তু টলাতে পারেনি তাঁর বেঁচে থাকার ইচ্ছেকে। চুয়ান্ন বছর বয়সে অবশেষে আসে রোগমুক্তির খবর।

সূত্র: বিভিন্ন বিদেশী প্রত্রিকা অবলম্বনে।

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024