দুনিয়া জুড়ে ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কর কাছে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে অন্তত ১৩শ’ মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা। বুধবার সকালে রাজধানীর কাছে গাউটা অঞ্চলে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থসহ রকেট হামলা চালানো হয় বলে তাদের অভিযোগ। তবে বাশার আল আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কোনো পক্ষ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মাত্র তিনদিন আগে সিরিয়া পৌঁছেছে জাতিসংঘের তদন্ত দল। হতাহতের ঘটনা সঠিক হলে এটি হবে কয়েক দশকের মধ্যে বিশ্বে সবচেয়ে বড় ধরনের রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা। নতুন করে হতাহতের খবরে তদন্তকারীদেরকে দ্রুত সেখানে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা ও আরব রাষ্ট্রগুলো।
রয়টার্সের কাছে সিরিয়া থেকে ফ্রি ল্যান্স সাংবাদিকদের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, একটি হাসপাতালের মেঝেতে বহু মানুষ কাতরাচ্ছে। আক্রান্তদের দীর্ঘক্ষণ ছটফট করার পর নিথর হয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে ওই সব ছবি ও ভিডিওচিত্র সঠিকভাবে যাচাই করা যায়নি বলে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়।
এএফপির বরাতে জানা গেছে, আরব লিগ ইতোমধ্যে ওই এলাকায় জাতিসংঘের তদন্তকারী দলকে যেতে অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, ইরবিন, দুমাম এবং মুয়াদহামিয়াসহ অন্যান্য বেশকিছু এলাকায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
বিরোধী দল সমর্থক একটি পর্যবেক্ষক সংগঠন জানিয়েছে, তারা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৪৯৪টি মৃতদেহ পেয়েছে যার ৯০ ভাগই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সিরিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্ররাষ্ট্র রাশিয়াও বিরোধীদের অভিযোগের ‘কার্যকর’ তদন্ত চেয়েছে। তবে মস্কো মনে করছে, আসাদবিরোধীরা মূল ঘটনাকে রঙ চড়িয়ে উপস্থাপন করছে। আরেক বিদ্রোহী গ্রুপ সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন ৬৫০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে। ১৯৮৮ সালে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুর্দিদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। দামেস্কের রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়টি প্রমাণ হলে এটি হবে তার পরের প্রথম ঘটনা।
Leave a Reply