স্বদেশ জুড়ে: রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচনায় ৭২টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। আজকের এ বৈঠক কমিটির শেষ বৈঠক।
আজকের সভায় ১৬৬টি নতুন মামলা থেকে ৪২টি প্রত্যাহার করা হয় এবং আগে নাকচ হয়ে যাওয়া ১১১টি মামলা থেকে ৩০টির আংশিক ও পুরোপুরি বাতিল করা হয়। এর মধ্যে বর্তমান সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও আমানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে করা মামলা রয়েছে। তবে মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় কমিটির বৈঠকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করেই মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়। তার পরও কেউ যদি প্রত্যাহারের সুপারিশ করা মামলার বিষয়ে কোনো অভিযোগ আনেন, তাহলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহাজোট সরকার গঠনের পর ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে হয়রানির উদ্দেশে করা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ প্রণয়নে এই কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সাল ও তার পরে করা মামলাও রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহারের সুপারিশের জন্য শেষ বৈঠকে উত্থাপন করা হচ্ছে।
কমিটির কার্যক্রম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৩০টি বৈঠকে মামলা প্রত্যাহারের সুযোগে খুন, অগ্নিসংযোগ ও ডাকাতির মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও দলীয় বিবেচনায় মুক্তি পেয়েছেন। কমিটি শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীসহ খুন বা ডাকাতির মতো ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় দাগি অপরাধীরা মুক্ত হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার পাশাপাশি পুলিশও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। বর্তমান সরকারের আমলে কমিটির ৩০টি বৈঠকে এ পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ১১৩টি মামলা বৈঠকে উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাত হাজার ১০১টি মামলা সম্পূর্ণ বা আংশিক প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছে জাতীয় কমিটি। এতে খুনি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, ধর্ষকসহ প্রায় এক লাখ অভিযুক্ত ব্যক্তি অব্যাহতি পেয়েছেন বা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন।
Leave a Reply