শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২৪

দুঃখ লিখে দুঃখ বিনাস

দুঃখ লিখে দুঃখ বিনাস

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মনের মধ্যে জমা হওয়া দুঃখ-কষ্টের কথা লিখে ফেললে মন হাল্কা হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক আঘাত-ক্ষতও জলদি মিলিয়ে যায়! নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক পরীক্ষা করে এমন কথা জানিয়েছেন। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা আমেরিকান সাইকোসোমাটিক সোসাইটির জার্নালে সম্প্রতি ছাপা হয়েছে।

গবেষক দলের প্রধান ‘হেলথ সাইকোলজি’ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার এলিজাবেথ ব্রডবেন্ট দাবি করছেন, ভয়ঙ্কর কষ্টের কোনও অভিজ্ঞতার কথা কেউ যদি লিখে ফেলেন, তা হলে আরাম হয় শরীরেরও। লেখার পরে যে শান্তির অনুভূতি তৈরি হয়, তাতে শরীরের আঘাত বা ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় হতে পারে। গবেষকরা ৫০ জনের একটি দল নিয়ে এ গবেষণা করেন। ২৫ জনকে তারা বলেছিলেন, তাঁদের জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা লিখে ফেলতে।

বাকি ২৫ জনকে বলা হয়, আগামিকাল আপনার কী কী কাজ করার আছে, লিখে ফেলুন। লেখার দু’সপ্তাহ পরে ওই ৫০ জনের হাত থেকে অল্প একটু চামড়া তুলে নেয়া হল। হাতে থেকে গেল সামান্য ক্ষত। দেখা গেল যাঁরা কষ্টকর অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছিলেন, ওষুধ লাগানোর পরে তাঁদের মধ্যে ৭২ শতাংশের ক্ষত একেবারে সেরে গেছে ১১ দিনের মাথায়। অন্যদের ক্ষত সেরে উঠতে অনেক বেশি সময় নেয়। ওই সময়ে তাদের মাত্র ৪২ শতাংশের ক্ষত নিরাময় হল। ব্রডবেন্ট এই থেকেই সিদ্ধান্তে পৌঁছান, ব্যক্তিগত কষ্টের কথা লেখার মাধ্যমে শারীরিক আঘাতের দ্রুত নিরাময় সম্ভব।

গবেষক জানান, শারীরবৃত্তীয় ক্ষেত্রে এই ধরনের বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি কোনও প্রভাব ফেলে কি না, সেটা জানার উৎসাহ ছিল আমার। লেখার ফলে ক্ষত বা আঘাত দ্রুত সারছে, এটা বাহ্যিক ভাবে বোঝা গেল সহজে। ব্রডবেন্টের মতে, দুঃখের অভিজ্ঞতা লিখে ব্যক্ত করলে মনে অনেক কম চাপ পড়ে। উদ্বেগ কম থাকে। অর্থাৎ স্ট্রেস হরমোনের দাপটও কম থাকে। স্ট্রেস হরমোন কম থাকলে ওষুধ দ্রুত কাজ করে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024