শীর্ষবিন্দু নিউজ: আজ মঙ্গলবার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী । তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নজরুল ভক্তরা আয়োজন করেছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্টান। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয় কাজী নজরুল ইসলামকে। তিনি ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট কবির জীবনের অবসান ঘটে। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম দুখু মিয়া। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারানোর পর শুরু হয় দুখু মিয়ার ভবঘুরে জীবন। মাজারের খাদেম, মসজিদের মুয়াজ্জিন, আসানসোলের রুটির দোকানের কর্মচারী থেকে লেটোগানের দলে কাজ করেছেন।ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হলেও স্কুলের সীমানা ছাড়তে হয় দশম শ্রেণীতেই।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। নজরুল আজীবন বেচে থাকবেন ভক্তদের মাঝে।
Leave a Reply