স্বদেশ জুড়ে নিউজ: জনগণের দাবি থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে নিতেই ক্রিকেট চেকের মতো দুদকের কাছে কোকোর চেক হস্তান্তর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের এই চেক হস্তান্তরের ঘটনাকে নৈতিক বির্বজিত বলে উল্লেখ করে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, ঢাকা মহানগর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, আবুল বাশার প্রমুখ।
ফখরুল বলেন, কোকোর চেক হস্তান্তর, ২১ আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমানকে জড়ানো ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা সবই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বিষয়টিকে জিয়ার পরিবার ও বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের একটি অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা কোনো ইস্যু নয়। তাদেরকে ঘায়েল করতে পারলেই আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারবে মনে করেই এটা করেছে সরকার।
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠিত। ইতোমধ্যে এ সঙ্কট দূরীকরণে ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য তারা সবাই কথা বলেছেন। সব দলের অংশগ্রহণে সবাই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু দেখতে চান। বাংলাদেশে এখন যে সমস্যা চলছে, তা জাতীয় সমস্যায় রুপান্তরিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি সবাই এখন বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। সবাই চান, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
ফখরুল বক্তব্যে বলেন, শেয়ারবাজার, পদ্মাসেতু, হলমার্ক কেলেঙ্কারির কথা এ দেশের মানুষ জানে। পদ্মাসেতু দুর্নীতি নিয়ে কানাডায় মামলা হয়েছে, এতে কারা জড়িত, কে কত শতাংশ টাকা নিয়েছে তা পত্র-পত্রিকায় স্পষ্টভাবেই প্রকাশিত হয়েছে। তাদের দুর্নীতি ঢাকতে ও আন্দোলনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকার দলের সব মামলা প্রত্যাহার করা হলেও বিরোধী দলের কোনো মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের জন্য আজ যে দাবি তা কোনো দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বিগত উপ-নির্বাচন ও সিটি নির্বাচনে সরকারের পরাজয়ের কারণে তারা এখন বুঝতে পেরেছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এজন্য তারা নানা কলা-কৌশল ও ষড়যন্ত্র করছে। তিনি এ ধরনের কাজ থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
Leave a Reply