রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৩

এমপিদের নেতিবাচক কাজ রোধে দণ্ড বিধি প্রয়োগের আহবান

এমপিদের নেতিবাচক কাজ রোধে দণ্ড বিধি প্রয়োগের আহবান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

স্বদেশ জুড়ে: দণ্ডবিধিসহ বিভিন্ন আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় এমপিরা অবাধে সংবিধান লঙ্ঘন করে বিভিন্ন নেতিবাচক কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন টিআইবি ও সুজন আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনার বক্তারা। জনপ্রতিনিধিদের অপকর্ম বন্ধে দণ্ডবিধি প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা তৈরি, কার্যপ্রণালী বিধির অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন কেউ কেউ। এ সংক্রান্ত আইন পাশেরও দাবি জানানো হয়েছে। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইনের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বলেন, এক্ষেত্রে সংসদের স্পিকার বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদ বদিউল আলম মজুমদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এডভোকেট শহিদুজ্জামান সরকার, সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সি এম শফি সামি, সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ হোসেন, সাবেক এমপি হুমায়ুন কবির হিরু, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এতে সভাপতির বক্তব্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা বলেন, যতো দিন ‘রুল অফ ল’ বাস্তবায়ন হবে না ততোদিন দেশে সুশাসন বাস্তবায়ন হবে না। তাই গণতন্ত্রেকে রক্ষার করতে হলে সংবিধানের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, আইন করে কোর্টের কাছে তাদের বিচারের দায়িত্ব দিয়ে দিলে তা জটিলতা সৃষ্টি করবে। এর জন্য স্পিকারই যথেষ্ট। তার এখতিয়ারে সংসদ সদস্যদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। অপরদিকে প্রশাসনের ওপর সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে যা বেআইনি। সংবিধান লঙ্ঘন করে এটা করা হচ্ছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদের সদস্যরা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এটা উদ্বেগের বিষয়। স্বাধীনতার পর এই হার ছিল ১৮ শতাংশ অথচ এখন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৬০ শতাংশই ব্যবসায়ী। তবে সকল শ্রেণী পেশার মানুষেরই রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে এবং এটা সংবিধান স্বীকৃত। কিন্তু সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে ব্যবসা করবেন এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

মূল প্রবন্ধে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইনসভা বা সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু। আর সংসদীয় গণতন্ত্রের চরিত্র এবং গুণগত মান নির্ভর করে সংসদ সদস্যদের নিজেদের চারিত্রিক গুণাবলী, মান ও আচরণের ওপর। একইভাবে সংসদের মর্যাদা ও প্রতিষ্ঠানটির প্রতি জনগণের আস্থা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সংসদ সদস্যদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট ও তাদের সুনাম-দুর্নামের ওপর। তাই সংসদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হলে সংসদ সদস্যদের আচরণ সংযতকরণ ও নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। এ কারণেই, বিশেষত আইন প্রণেতাদের সদাচরণ নিশ্চিত করার জন্য একটি সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়ন অপরিহার্য।

সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদরে স্পিকারের ক্ষমতা রয়েছে কোনো সদস্য অসদাচরণ করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের। কিন্তু বিগত সময়ে কখনোই আমাদের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখিনি। যদি তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে স্পিকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন তাহলে নতুন আচরণ বিধি আইনেরও প্রয়োজন হতো না।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোঃ শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তারপরও প্রয়োজন হলে জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে এ ধরনের একটি আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024