শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনার মামলার প্রথম রায়ে অভিযুক্ত কিশোরকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে একটি কিশোর আদালতে এ রায় দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরকে তিন বছর সংশোধন কেন্দ্রে থাকতে হবে।
এর আগে, ৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিজেপির নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামীর একটি পিটিশনের কারণে রায় প্রদান স্থগিত হয়। ২২ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই পিটিশন খারিজ করে দিলে আদালতের রায় দেওয়ার পথ সুগম হয়। ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও তার বন্ধুকে নির্যাতন করে চলন্ত বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় পাষণ্ডরা। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ১১ দিন পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ওই মেডিকেল ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সকলের ফাঁসি দাবি করেছে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা।
দিল্লির এ ঘটনা ভারতসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করে। আন্দোলনের মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও অন্যতম নেতা রাহুল গান্ধীসহ অনেকে অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি প্রদান এবং নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দেন। তবে, গত মাসে কারাগারে এক অভিযুক্ত আত্মহত্যা করে। অন্য চারজনের বিচার বিশেষ দ্রুত আদালতে হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড হবে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে তাদের বিরুদ্ধে রায় হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, অভিযুক্ত ছয় জনের মধ্যে প্রথম রায়ে অভিযুক্ত কিশোরকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরের বয়স ছিল ১৭ বছর।
Leave a Reply