শীর্ষবিন্দু নিউজ: জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি স্থায়ী পদ্ধতি দরকার। সে ক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে দিয়েই নির্বাচন হওয়া উচিত। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এ মতামত জানিয়েছেন বক্তারা। ‘বর্তমান সংকট নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক ওই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজউদ্দিন খান।
কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, দুই নেত্রী যা বলেন, দলের নেতাদের কাছে এখন সেটাই সংবিধান হয়ে যায়। সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কী চায়। পীর-ফকিরের মাজারের লোকের মতো আধ্যাত্মিক কথা বললে চলবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, সাংবিধানিক স্ববিরোধিতা নিয়ে সমস্যার সমাধান হতে পারে না। দেশে ৪২ বছরেও সাংবিধানিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থার জায়গা নেই। এ কারণে নির্বাচন কমিশনের ওপরও কারও আস্থা নেই।
একতরফা নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.)এম শাখাওয়াত হোসেন। পাশাপাশি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতির স্থায়ী সংস্কার দরকার বলেও মনে করেন তিনি। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) আয়োজিত‘রাজনৈতিক সংকট নিরসনে করণীয়’শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
না ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অনেক সংগ্রাম করে না ভোট পদ্ধতি চালু করেছিলাম কিন্তু অনেক উচ্চ শিক্ষিত রাজনীতিবিদরাই না ভোটকে প্রতিপক্ষ মনে করল। ভোটারদের নিরাপত্তা সম্পর্কে শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমানে রাজনীতিতে যে নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। এই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কতজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেখানে লেভেল প্লেইং ফিল্ড কেমন হবে সে সম্পর্কে এখনও আরপিওতে কিছু বলা হয়নি।নির্বাচন কমিশন বার বার এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এ নিয়ে তাদের কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। একতরফা নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় রাজনীতির কথা বলি কখনওই ভোটারদের কথা চিন্তা করি না। ভোটাররা আসলে কি চায় সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আজ যে রাজনৈতিক সংকট তার প্রধান কারণ হচ্ছে বিরোধী দলের ওপর হামলা। সরকার সে কারণেই ক্ষমতা ছাড়ছে না। আর বিদেশিরা যেভাবে আমাদেরকে জ্ঞানদান করে যাচ্ছে সেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জা পাই।