গোপন রোগ ডেস্ক: সারা বিশ্বে পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটি হয় তা হলো নারীদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যত্বের সমস্যার কথা অহরহর শোনা গেলেও পুরুষের ক্ষেত্রে তা অনেকেটা কম-ই শোনা যায়।
আবার অনেকে আছেন বুঝতেও পারেন না। বর্তমানে বেশির ভাগ দম্পতি ঘরে ও বাইরে সমান তালে কাজ করে। এছাড়া অনেকে আছেন দেরিতে বিয়ে করে। আবার অনেকের অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া ও মানসিক চাপ সন্তানের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, বন্ধ্যত্ব এখন আর দুর্ঘটনা নয়। এখন সারা বিশ্বে এই সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারী ও পুরুষের বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে বর্তমান জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা, মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক চাপ। এসব সমস্যা বৃদ্ধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটা সময় ছিল যখন বন্ধ্যত্বের সমস্যার জন্য নারীদের দায়ী করা হতো। কুসংস্কার ও অশিক্ষার কারণে এই সমস্যা বেশি দেখা যেত। তবে আধুনিক গবেষণা ও বিজ্ঞান তাদের এই ধারণা ভুল বলে প্রমাণিত করেছে। এই সমস্যার জন্য শুধু নারী নয় পুরুষরাও সমান দায়ী।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মার্থা হাজরা জানান, প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে বন্ধ্যত্বের কারণ হন পুরুষরাও। আসুন জেনে নেই পুরুষের প্রজননক্ষমতা বাড়াতে ও বন্ধ্যত্ব প্রতিরোধে কী করবেন?
উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণ
খুব কম বা খুব বেশি ওজন, দুটোই পুরুষের প্রজননক্ষমতার পক্ষে বড় বাধা। তাই উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রয়োজনে ডায়েট ও শরীরচর্চা করুন।
খাদ্যাভ্যাস
খাদ্যাভ্যাসও পুরুষের বন্ধ্যত্ব অন্যতম কারণ। তাই ঠিক সময়ে খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত। এছাড়া কিছু খাবার যেমন- আমন্ড, মৌসুমি ফল, শাকসবজি, প্রচুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। এসব খাবার বন্ধ্যত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে।
মৌসুমি ফলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যেমন এই প্রতিবন্ধকতা কমায়, তেমনই দই, দুধ জাতীয় খাবারের ভিটামিন ই-ও এই সমস্যা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এড়িয়ে চলুন ঝাল-মসলার খাবার।
শরীরচর্চা
পুরুষের প্রজননক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চা গুরুত্বপূর্ণ। শরীরচর্চা ওজন কমায় ও শরীরের পুরুষ হরমোনগুলোর ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে চিকিৎসা
যদি ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চরক্তচাপ থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নিয়ম মেনে চলুন।