শীর্ষবিন্দু নিউজ: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অতি সম্প্রতি মহমামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কিছু দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম ছিলেন। তবে মঙ্গলবার সম্ভবত পুনরায় তার কাজে ফিরেছেন। খবর এএফপি’র।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া মোকাবেলায় তার সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা বৃদ্ধির মধ্যেই তিনি কাজ শুরু করলেন। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সম্প্রতি তিনি সেখান থেকে ছাড়া পান।
জনসন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক ভূমিকার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
যুক্তরাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা জানান, তিন সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো তিনি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাথে কথা বলবেন।
জনসনের মুখপাত্র জানান, আইসিইউ’তে কয়েকদিন কাটানো ৫৫ বছর বয়সী এ নেতা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি কাজ করছেন না।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব দেশটির অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে, হাউস অব কমন্সের সেমি-ভার্চুয়াল সেশন চলাকালে বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন গ্রহণ করবেন।
ইস্টার উৎসব উপলক্ষে বন্ধ থাকার পর এমপিরা মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ফিরে ৬৫০ আসনের এ হাউসের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের হাউসের বাইরে থেকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে এই নতুন পদক্ষেপ অনুমোদন করেন।
সামাজিক দূরত্ব আইনের আওতায় কেবলমাত্র ৫০ জন পার্লামেন্ট সদস্য নিরাপদে পার্লামেন্টে অংশ নিতে পারবেন। কমন্স স্পিকার লিন্ডসে হোলি ইন্টারনেট ভিডিও কনফারেন্স সার্ভিস জুম-এর মাধ্যমে পার্লামেন্ট সদস্যদের যুক্ত হতে বলেছেন।
হোলি বলেন, ৭ শত বছরের পুরাতন এ পার্লামেন্টের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি আরো বলেন, এই সংকটপূর্ণ সময়ে আমরা অবশ্যই এ থেকে পরিত্রাণের নতুন উপায় খুঁজে বের করবো। এ সময় অনেক পার্লমেন্ট সদস্য দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া মোকাবেলায় সরকারের কার্যক্রমের কঠোর সমালোচনা করেন।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন হচ্ছে অন্যতম একটি দেশ। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৮৬১ জন বেড়ে বর্তমানে মোট ১৭ হাজার ৩৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে।