খুব শিঘ্রই বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোটরসাইকেল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে জাপানের বিখ্যাত কোম্পানি হোন্ডা। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে ব্যাপকহারে হোন্ডা মোটর সাইকেল এর চাহিদা থাকলে হোন্ডা অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে রপ্তানী বন্ধ রেখেছে।এতদিন ভারতের মোটরসাইকেল নির্মাতা কোম্পানি হিরোর মাধ্যমে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল বিক্রি করত হোন্ডা। কিন্তু জাপানি কোম্পানিটি ২০১১ সালে হিরোর সঙ্গে তাদের চুক্তি বাতিল করেছে। বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্যই এসব মোটরসাইকেল তৈরি করা হবে।
ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগে হোন্ডা মোটর সাইকেল তৈরী করলেও দামের দিক দিয়ে তা ছিল বেশী এবং চাহিদা অনুয়ায়ী পর্যাপ্ত সংখ্যক সরবরাহ করতে ইন্ডিয়া-জাপান ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে উঠতি বয়সি তরুনদের হোন্ডার চাহিদা সংখ্যা অনেক বেশী। যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় তরুনদের সবাই আগ্রহ হারিয়ে ইন্ডিয়ার তৈরী মোটর সাইকেল কম দামে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন।
জাপানের তৈরী কারখানা হোন্ডার এই যোষণা থেকে আশা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশের তরুনরা খুশিই হবেন। কারণ ভারতের তৈরী মোটর সাইকেলগুলো সাধারণত হালকা ধরনের এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় । যা জাপানী মোটর সাইকেলের তুলনায় অনেক অনুন্নত সার্ভিস প্রদান করে। বেশী দিন ব্যবহারেও অক্ষম।
হোন্ডার ঘোষণা অনুযায়ী, বছরে ১০ থেকে ২০ হাজার মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কারখানা স্থাপন করবে। যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হবে। তারা জানান, বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্যই এসব মোটরসাইকেল তৈরি করা হবে। ভারত ও পাকিস্তান থেকে আনা যন্ত্রাংশ এখানকার কারখানায় সংযোজন করা হবে বলেও খবরে বলা হয়।
Leave a Reply