যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দলে ইসলামোফোবিয়া নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।নুসরাতের অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। কনজারভেটিভ পার্টির একাধিক মন্ত্রী মুখ খুলেছেন এবং তদন্ত দাবি করেছেন।
বিতর্ক শুরু হয়েছিল সাবেক জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী নুসরত ঘানির একটি বিস্ফোরক সাক্ষাত্কার থেকে। এতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। তবে চিফ হুইপ মার্ক স্পেনসর জানিয়েছেন, নুসরাত তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তার অভিযোগ মিথ্যা। তিনি এরকম কোনো কথা নুসরাতকে বলেননি।
সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মুসলমান হওয়ার জন্যই তাকে মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাত্কারে এই অভিযোগ করলেও দলীয় স্তরে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও নুসরাত প্রধানমন্ত্রী বরিসের কাছে গিয়েও বিচার পাননি বলে সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন পার্টিগেট নিয়ে রীতিমতো চাপে, তখন আরেকটি বিতর্ক সামনে এল।
সানডে টাইমসকে নুসরাত বলেছেন, ২০২০ সালে তাকে জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। কনজারভেটিভ পার্টির হুইপ তাকে ডাউনিং স্ট্রিটে একটি বৈঠকে বলেছিলেন, তার মুসলমান হওয়াই হলো এর কারণ। তাকে বলা হয়, তিনি মুসলিম নারী মন্ত্রী বলে তার সহকর্মীরা অস্বস্তি বোধ করছেন।
নুসরাত জানিয়েছেন, এটাও বলা হয়, আমি দলের প্রতি পুরোপুরি বিশ্বস্ত নই। দলের বিরুদ্ধে ইসলামোফোবিয়ার অভিযোগ আসার পর আমি দলের রক্ষায় সেভাবে উদ্যোগী হইনি। তার দাবি, এটা স্পষ্ট যে, ১০ ডাউনিং স্ট্রিট আমাকে বিশ্বস্ত মনে করত। কিন্তু আমাকে সরিয়ে দেওয়ার পর মনে হয়েছিল, আমার পেটে কেউ ঘুষি মেরেছে। নিজেকে ক্ষমতাহীন ও অপমানিত মনে হয়েছিল। আমি সহকর্মীদের ভয়ে এত দিন চুপ করে ছিলাম।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অফিস জানিয়েছিল, জনসন এর আগে নুসরাতের সঙ্গে দেখা করেছেন, তার অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন এবং তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানাতে বলেছেন। এরপর গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরিসের মুখপাত্র জানান, রবিবার সন্ধ্যায় নুসরাতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে মুখপাত্র জানান।
Leave a Reply