হার্টের রোগীদের জন্য সুখবর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একদল বিজ্ঞানী বলেছেন আগেভাগেই হার্টে কোনো রোগ থাকলে তা শনাক্ত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। এর ফলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে কয়েক হাজার নারীর ওপর তিন দশক ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এসব নারীর সন্দেহজনক হার্টের সমস্যা ছিল বলে প্রথমে মনে করা হয়েছিল। তাদের ওপর গবেষণা চালানোর পর লন্ডনে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি কংগ্রেসে এই ব্রেকিং রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা একই সঙ্গে তাদের গবেষণা প্রকাশ করেছেন ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ। ব্রাইহ্যাম সেন্টার ফর কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ প্রিভেনশনের পরিচালক ও গবেষণার লেখক পল রিডকার বলেন, আমরা আশা করছি এই গবেষণা আগেভাগে হার্টের কোনো সমস্যা থাকলে তা শনাক্ত করতে সহায়ক হবে।
একই সঙ্গে হার্টের অসুস্থতা থেকে প্রতিকার পাওয়া সহজ হবে। তিনি একই সঙ্গে বস্টনে ওমেন্স হাসপাতালের পরিচালকও। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২৭,৯৩৯টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে তারা রক্তের নমুনা এবং মেডিকেল ইনফরমেশন সংগ্রহ করেন। ৩০ বছর পরে এই গবেষণায় অংশ নেয়া ৩৬৬২ জন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
অথবা সার্জারি করা হয় রক্ত সঞ্চালন লাইন পুনঃস্থাপনের জন্য। এক্ষেত্রে সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি), যেটা প্রদাহের পরিমাপক-এর সঙ্গে সঙ্গে লোডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) কোলেস্টেরল এবং এলপি (এ) পরিমাপ করা হয়।
যাদের ক্ষেত্রে এলডিএল কোলেস্টেরল, এলপি (এ) এবং সিআরপি একসঙ্গে পাওয়া যায় তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি খুব বেশি। এর পরিমাপ দেড়গুণ। একই সঙ্গে করোনারি হার্ট রোগের ঝুঁকি তিনগুণ বেড়ে যায়।
গবেষকরা বলেছেন, তারা শুধু নারীদের ক্ষেত্রে এসব পরীক্ষা করেছেন। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে একই হতে পারে। এসব ফ্যাট ও প্রোটিন রক্তে বেড়ে ওঠা প্রতিরোধে গবেষকরা কিছু পদক্ষেপের কথা বলেছেন। তার মধ্যে রয়েছে নিয়মিত শারীরিক কর্মকাণ্ড, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, হতাশা এড়িয়ে চলা এবং তামাক বা ধূমপান থেকে বিরত থাকা।
Leave a Reply