যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন হঠাৎ করে উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করেছে। গেল বছর গ্র্যাজুয়েট লেভেলে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে করে পরিবারের সদস্যদের আনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
বাংলাদেশসহ বিদেশি শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করেই যেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে উচ্চশিক্ষার তীর্থস্থান খ্যাত যুক্তরাজ্য থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। অভিবাসন নীতিমালায় সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণেই বিকল্প খুঁজছে শিক্ষার্থীরা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে আসার পরিমাণ কমেছে। যদিও বিদেশ কাউন্সিল এবং ইউকেভিআই ডাটা থেকে আমরা জানতে পারবো আসল পরিমাণটা কত।
জাইন গ্লোবালের বাণিজ্য উন্নয়ন একজন ব্যবস্থাপক জানান, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি নেয়। এটা একসাথে দেয়াটা অনেক কঠিন। এছাড়া ডিপেন্ডিং বা নির্ভরশীল ভিসা বন্ধ করে দেয়ার কারণে অনেকে পরিবার ছাড়া আসতে চাচ্ছে না। ফলে তারা অন্য কোনো দেশে চলে যায়।
দেশটির মোট অভিবাসীর সংখ্যা ঠিক রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবীদের ভারসাম্য রাখতেই কঠোর নীতিতে সরকার। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের চাকুরী করে উচ্চমাত্রার টিউশিন ফি পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
অভিবাসী বিষয়ক একজন আইনজীবী জানান, শিক্ষার্থীদের ভিসা এক্সটেনশনের ক্ষেত্রে সিরিয়াস কড়াকড়ি রয়েছে। এসব কতগুলো কমবাইন্ড রিজনের কারণে দেখা যাচ্ছে যে, এখানে শিক্ষার্থীদের সাসটেইন করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বিদেশী শিক্ষার্থীর ভর্তি হ্রাস পাওয়ায় নিজেদের পরিচালনা ব্যয় মেটাতে সংকটে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। সংকট মোকাবেলায় কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ৪শ জনকে চাকরিচ্যুত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। একইসাথে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বেশ কয়েকটি কোর্স ও বিভাগ।
একই সাথে ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের সাথে তুলনামূলকভাবে আকাশচুম্বী টিউশন ফি বৃদ্ধিও অন্যতম কারণ মনে করছেন অনেকে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিষয়ক পরামর্শপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শিক্ষার মান ধরে রাখার ক্ষেত্রে এখনো শীর্ষ স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
Leave a Reply