সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:১০

যুক্তরাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার

যুক্তরাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার

যুক্তরাজ্যে গত বছর আধুনিক দাসত্বের সম্ভাব্য শিকার মানুষের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে অপরাধ ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে নীতিগত সংস্কার গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন তারা।

গত ৬ মার্চ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে ভুক্তভোগীদের শনাক্ত ও রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ ‘ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম’ (এনআরএম) গত বছর রেকর্ড ১৯ হাজার ১২৫ জন ভুক্তভোগীকে আধুনিক দাসত্বের সম্ভাব্য শিকার হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৭ হাজার।

আধুনিক দাসত্বের মধ্যে মানবপাচার, দাসত্ব, যৌন নিপীড়ন, গাড়ি পরিষ্কার, জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করার মতো বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দারিদ্র্য, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অভিবাসনের কারণে বিশ্বজুড়ে আধুনিক দাসত্ব বাড়ছে এবং এর শিকার হচ্ছেন লাখো মানুষ।

যুক্তরাজ্যে আধুনিক দাসত্বের নানা ধরন রয়েছে। দেশটিতে পুরুষ, নারী কিংবা শিশুদের মাদক বা যৌন ব্যবসা, গাড়ি ধোয়া, সেলুন, ব্যক্তি মালিকানাধীন ঘরের গৃহস্থালি কাজ এবং সামাজিক পরিচর্যায় শোষণমূলক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে।

দেশটির দাসত্ববিরোধী ইনডিপেনডেন্ট কমিশনার ইলিয়ানর লিয়ন্স বলেন, এই পরিসংখ্যানগুলো শুধু সংখ্যা নয়। এগুলো ভুক্তভোগীদের কথা, তাদের কথা সরকারের শোনা উচিত।

তিনি বলেন, একটি আন্তঃসরকার আধুনিক দাসত্ব কৌশল প্রয়োজন, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এই অপরাধ মোকাবিলায় অগ্রাধিকার দেবে।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যান্টি-স্লেভারি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে আধুনিক দাসত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার।

এনআরএম আধুনিক দাসত্বের সম্ভাব্য শিকার হিসেবে যাদের নথিভুক্ত করেছে, তাদের মধ্যে ২৩ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক৷ এছাড়া ১৩ শতাংশ নাগরিক নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আলবেনিয়ার নাম। তৃতীয় স্থানে থাকা ভিয়েতনামিদের সংখ্যা ১১ শতাংশ।

শঙ্কার বিষয় হলো, এনআরএম-এর ডেটা অনুযায়ী আধুনিক দাসত্বের সম্ভাব্য শিকারদের মধ্যে ৩১ শতাংশ বা ছয় হাজার শিশু রয়েছে।

মোট ভুক্তভোগীর ৭৪ শতাংশ পুরুষ। আর অপরাধের ধরনে শীর্ষে রয়েছে শ্রম শোষণ। কারণ, ৩২ শতাংশ ভুক্তভোগী কর্মক্ষেত্রে শোষণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

অভিযোগকারীদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন। আর ৪৪ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা যুক্তরাজ্যের বাইরে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের বাইরে যেসব দেশে অভিযোগকারীরা আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে লিবিয়ার নাম। এরপরেই রয়েছেছে আলবেনিয়া ও ভিয়েতনাম।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024