ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার (৫ মার্চ) ইংল্যান্ডের সেভেনওকসে চেভেনিং হাউসে তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা হয়। পরে এস জয়শঙ্কর নিজেই এ তথ্য জানান।
এক্স-বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লিখেন, গত দুই দিন ধরে চেভেনিং হাউসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বিস্তৃত এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেছি।
বিশেষ করে কৌশলগত সমন্বয়, রাজনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা, শিক্ষা, প্রযুক্তি, গতিশীলতা এবং দুই দেশের জনগণের সম্পর্কের ওপর আমাদের মনোযোগ ছিল। এগুলো আরও শক্তিশালী এবং কাঠামোগত করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ প্রণয়ন করতে আমরা সম্মত হয়েছি।
তিনি আরও লিখেন, আমরা ইউক্রেন সংঘাত, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ এবং কমনওয়েলথসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে মতামত বিনিময় করেছি। অনিশ্চিত এবং অস্থির বিশ্বে ভারত-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
তবে বাংলাদেশ নিয়ে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা জানাননি এস জয়শঙ্কর। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ভারতে আশ্রয় নেওয়ার তিন দিনের মাথায় গুঞ্জন উঠে তিনি নতুন ঠিকানার খোঁজ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের নাম উঠে আসে। সেই সময় ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপ এ গুঞ্জনে ডালপালা ছড়ায়।
গত বছরের ৯ আগস্ট এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তখন সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বিষয়টি উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন জয়শঙ্কর। এতে তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির কাছ থেকে আজ ফোন পেয়েছি। ফোনে বাংলাদেশ ও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সেই সময়েও বিস্তারিত জানাননি তিনি।
Leave a Reply