আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমাবার। আজকের বিষয় ‘শুক্রবার জুমাবার’। শীর্ষবিন্দু পাঠকদের জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ‘ইসলাম বিভাগ প্রধান’ ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান।
সেকেন্ড, মিনিট ও ঘণ্টার ধারাক্রমে ২৪ ঘণ্টায় হয় এক দিন। তা হতে পারে সপ্তাহের সাত দিনের যেকোনো দিন। ছোটবেলা থেকে লোকমুখে শুনে শুনে এই বারগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায় সব পেশার মানুষ। প্রত্যেকেই এই বার সম্পর্কে সচেতন।
কারণ আজ কী বার—যে জানে না সে উদাসীন, গাফিল। সপ্তাহের সাত দিনের প্রত্যেক বারের উল্লেখ কোরআন-হাদিসে পাওয়া যায়। সবার জ্ঞাতার্থে কোরআন-হাদিসের আলোকে নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-
শুক্রবার/জুমাবার:
শুক্রবারের আরবি শব্দ জুমুআ। অর্থ একত্র হওয়া। বিশ্বজগৎ সৃষ্টির আগে আল্লাহর আরশ ব্যতীত আর কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। তখন পানির উপরে আল্লাহর আরশ ছিল। তারপর বিভিন্ন দিন আল্লাহ এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেন। কোনদিন কী সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তা হাদীসে এসেছে।
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেন, জুমুআর দিন আসরের পর তিনি আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ জুমুআর দিনের সময়সমূহের শেষ মুহূর্তে (মাখলূক) আসর থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন। (মুসলিম হাদীস নং ৬৭৯৭)
জমায়েত হওয়া। যেহেতু এ দিনে মানুষ আল্লাহর হুকুম পালনের লক্ষ্যে আল্লাহর ঘরে জমায়েত হয়, এ জন্য একে জুমুআ বলা হয়। জুমুআ তথা শুক্রবারের কথা কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, যখন তোমাদের শুক্রবার দিন নামাজের দিকে ডাকা হয়, তখন আল্লাহর জিকিরের দিকে ধাবিত হও। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ, আয়াত: ৯)
বিভিন্ন হাদিসেও শুক্রবারের উল্লেখ আছে। যেমন—
১. আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুক্রবারে গোসল করা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য আবশ্যক।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৮৫)
২. আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) জুমুআর (শুক্রবারের) নামাজ পড়তেন যখন সূর্য হেলে পড়ত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৯৪)
Leave a Reply