ব্রিটিশ বাংলাদেশি লেবার পার্টির এমপি আপসানা বেগম ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তির পক্ষে তার অবস্থান তুলে ধরেছেন। অবশ্য এ ব্যাপারে অন্য তিন ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি কিছু বলেননি।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট যখন ২০১০ সালের সমতা আইনের অধীনে ‘নারী’ ও ‘লিঙ্গ’ শব্দের সংজ্ঞা শুধুমাত্র জৈবিক দিক দিয়ে ব্যাখ্যা করেছে, তখন আপসানা এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রান্সজেন্ডারদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছেন।
এমপি আপসানা বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, সমাজে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে ট্রান্স সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।
বর্তমানে ট্রান্স ব্যক্তিদের ওপর হামলা বাড়ছে, এবং তাদের অধিকার হুমকির মুখে পড়ছে। আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষাপটে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ।
তবে তার এই অবস্থানের সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ, বিশেষ করে মুসলমান কমিউনিটির অনেকেই এর বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। ইউটিউবার তৌসি এক বিতর্কিত প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলেছেন, আপনি ট্রান্সদের মসজিদের পুরুষ না মহিলা; কোন দিকে পাঠাবেন, আপসানা?
এই সমালোচনার মধ্যেও আপসানা বলেন, সমাজের সব মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও নিরাপত্তা দেওয়া তার নীতিগত অবস্থানের অংশ। তিনি বিশ্বাস করেন, আইনি সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হলেও, মানবিক মূল্যবোধের দিকটি উপেক্ষা করা উচিত নয়।
একজন পরিচিত ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি হিসেবে তার এই অবস্থান সামাজিক বিতর্কে ভিন্ন একটি দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করেছে।
তবে সমালোচকরা বলছেন, লেবার পার্টির ভেতরে তার দুর্বল অবস্থান ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় তিনি এখন নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন—যেমন, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সফর করা কিংবা নিজের এলাকার ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার চেষ্টা করছেন।
Leave a Reply