আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমাবার। আজকের বিষয় ‘শনিবার’। শীর্ষবিন্দু পাঠকদের জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ‘ইসলাম বিভাগ প্রধান’ ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান।
রবিবার: আরবিতে রবিবারকে বলা হয় ইয়াউমুল আহাদি। রবিবারের কথা হাদিস শরিফে পাওয়া যায়।
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন আল্লাহ তাআলা রোববার দিন তিনি এতে পর্বত সৃষ্টি করেন। (মুসলিম হাদীস নং ৬৭৯৭)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) তাবেঈ নাফে (রহ.)-কে বলেন, হে নাফে, আমার রক্ত উথলে উঠেছে। একজন শিঙ্গাকারকে তালাশ করো। আর নির্বাচন করো একজন ভালো সঙ্গীকে—বৃদ্ধও না শিশুও না। কারণ আমি নবীজির কাছ থেকে বলতে শুনেছি, খাওয়াদাওয়ার আগে শিঙ্গা লাগানো উত্তম।
এতে আছে শিফা ও বরকত। এটি বিবেক ও স্মরণশক্তিকে বৃদ্ধি করে। তাই আল্লাহর বরকত লাভের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার শিঙ্গা লাগাও। আর বুধবার, শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার শিঙ্গা লাগানো থেকে বিরত থাকো। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৮৭)
রবিবার রাতের নফল নামায
হযরত আ’স (রাঃ) হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, রবিবার রাতের মধ্যে যে কোন সময় এক নিয়্যতে চার রাক’আত নামায পড়তে হবে। এ নামাযের ১ম রাক’আতে সূরা ফাতিহার পরে ১০ বার সূরা ইখলাছ দ্বিতীয় রাক’আতে ২০ বার, তৃতীয় রাক’আতে ৩০ বার এবং চতুর্থ রাক’আতে ৪০ বার পড়তে হবে।
নামাযের পরে সূরা ইখলাছ ৭৫ বার ইস্তিগ ফার ৭৫ বার এবং দুরূদ শরীফ ৭৫ বার পড়তে হবে। নামাযের পরে আল্লাহর নিকট গুনাহ মার্জনার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। তিনি তার দিলের বাসনা পূর্ণ করে দেবেন।
রবিবার দিবসের নফল নামায
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রবিবার দিবসে যে কোন সময় এক নিয়তে চার রাক’আত নামায আদায় করা যায়। এর প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহার পরে সূরা বাকারার “আমানার রাসূলুহইতে আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন”পর্যন্ত পড়তে হয়।
এ নামাযির আমল নামায় খৃষ্টানদের সংখ্যার তুল্য সওয়াব লিখা হবে এবং নবীর তুল্য ছাওয়াবও লিখা হবে আর একটি হজ্জ এবং একটি ওমরার তুল্য ছাওয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে। এটা ব্যতীত প্রতি রাক’আতের বদলে এক হাজার রাক’আতের তুল্য ছওয়াব লিখা হবে এবং বেহেশতের ভিতরে এর প্রত্যেটি অক্ষরের বদলে মেশকের শহর লাভ করবে। নামাযের পরে নিজের ও পিতা-মাতার গুনাহ্ মার্জনার জন্য আল্লাহর দরবারে দো’য়াকরবে।
Leave a Reply