আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমাবার। আজকের বিষয় ‘সোমবার’। শীর্ষবিন্দু পাঠকদের জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ‘ইসলাম বিভাগ প্রধান’ ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান।
সপ্তাহের-সোমবারের আলোচনা ও গুরুত্ব
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি সৃষ্টি করেন।
সোমবারের বিশেষ মর্যাদা হচ্ছে রাসুলুল্লাহ (স.) এদিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এদিন তাঁকে নবুওয়ত দেওয়া হয়েছিল বা কোরআন নাজিল করা হয়েছিল, এদিনে বান্দার আমলনামা আল্লাহ তাআলার কাছে পেশ করা হয়, আল্লাহ তাআলা নিজ রহমতে সোমবার দিন মুসলিম বান্দাকে ক্ষমা করেন, এ কারণে।
হযরত আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.)-কে সোমবার দিন রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়ত প্রদান করা হয়েছিল অথবা এই দিনে আমার ওপর কোরআন নাজিল করা হয়েছে।’ (মুসলিম: ১১৬২)
আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- “সোমবার ও বৃহস্পতিবার দিনে মানুষের আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয়। আমি চাই যে, আমার আমল যখন আল্লাহর কাছে পেশ করা হবে, তখন আমি রোজা রেখে থাকি।” (তিরমিজি, আবু দাউদ)
গুনাহ মাফের সুযোগ
সোমবার রাতের ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফের সুযোগ রয়েছে। এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি বান্দার দোয়া কবুল করেন।
বিশেষ দোয়ার ফজিলত
সোমবার রাত দোয়া কবুলের অন্যতম সময়। রাসুল (সা.) বলেন, “সোমবার ও বৃহস্পতিবারে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং আল্লাহ বান্দাদের গুনাহ ক্ষমা করেন, যারা পরস্পর সম্পর্ক বজায় রাখে।” (মুসলিম)
সদকা করা
সোমবার রাতে দান-সদকা করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলে মনে করা হয়। সোমবার রাত আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। যারা এই রাতে ইবাদত করেন, তারা আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করেন।
Leave a Reply