আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমাবার। আজকের বিষয় ‘বুধবার’। শীর্ষবিন্দু পাঠকদের জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ‘ইসলাম বিভাগ প্রধান’ ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান।
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ তাআলা বুধবার দিন তিনি নূর সৃষ্টি করেন। প্রতি বুধবারের যোহর ও আছরের মধ্যবর্তী সময়টুকু দো‘আ কবুলের সময় বলে একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়।
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এই মসজিদে অর্থাৎ মসজিদুল ফাৎহ (বিজয়ের মসজিদ)-এ সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার দো‘আ করলেন এবং বুধবার ছালাতের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁর দো‘আ কবুল হ’ল।
জাবের (রাঃ) বলেন, যখনই আমার কোন গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজ উপস্থিত হয়েছে, তখনই আমি উক্ত সময়ে (যোহর ও আছরের মধ্যবর্তী সময়ে) প্রার্থনার ইচ্ছা করেছি এবং বুধবার এই সময়ে দো‘আ করেছি। অতঃপর তা যে কবুল হয়েছে তা বুঝতে পেরেছি (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৭০৪; আহমাদ হা/১৪৬০৩, সনদ হাসান)।
বর্ণনাটি অনেক মুহাদ্দিছ যঈফ বললেও শায়েখ আলবানী এর সনদকে হাসান বলেছেন (ছহীহুত তারগীব হা/১১৮৫)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীছ দ্বারা দো‘আ কবুলের সময়ের কথা প্রমাণিত হয়, কোন স্থান নয়।
আমাদের সাথী একদল বিদ্বান এই হাদীছের উপর আমল করে উক্ত সময়ে প্রার্থনা করেন (ইকতিযাউছ ছিরাতিল মুস্তাকীম ২/৩৪৪)। বুধবার দিন যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া কবুল হয়। (শুআবুল ঈমান ২/৪৬)
বুধবার রাতের ইবাদত
হাদীস শরীফে আছে, হুযুর পাক (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, বুধবার রাতে যদি কোন ব্যক্তি দুই রাকআত নামায এভাবে আদায় করে, প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ফালাক দশবার, দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা নাস দশবার পাঠ করে, তবে আসমান হতে সত্তর হাজার ফেরেশতা পৃথিবীতে আগমন করে রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য নেকী লেখতে থাকে।
Leave a Reply