শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ১১:০২

লন্ডনে ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত

লন্ডনে ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত

লন্ডনে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার দায়ে তুরস্কে জন্ম নেয়া হামিদ কোসকুন নামের এক ব্যক্তিকে সোমবার ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত জনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত।

৫০ বছর বয়সী কোসকুন ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনের তুরস্ক কনস্যুলেটের সামনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননার সময় চিৎকার করে ইসলামবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জেলা বিচারক জন ম্যাকগারভা রায় দেন যে, কোসকুন জনসমক্ষে এমন আচরণ করেছেন যা ‘শ্রোতা বা দর্শকের মনে হয়রানি, ভয় বা বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে’।

বিচারক বলেন, কোসকুনের এই কর্মকাণ্ড ছিল ‘ইসলামের অনুসারীদের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত’ এবং এই উদ্দেশ্য থেকেই তিনি কাজটি করেছেন। আদালত কোসকুনকে ২৪০ পাউন্ড (প্রায় ৩২৫ ডলার) জরিমানা করেন এবং ৯৬ পাউন্ড অতিরিক্ত ফি ধার্য করেন।

কোসকুনকে উদ্দেশ্য করে বিচারক আরও বলেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থটি অবমাননা করে আপনি উসকানি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ছিল বিদ্বেষপূর্ণ ভাষা ও আচরণ। এটি ধর্মবিশ্বাসীদের প্রতি ঘৃণা থেকে উদ্ভূত।

সরকারি কৌঁসুলি ফিলিপ ম্যাকগি বলেন, কোসকুনকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননার জন্য নয়, বরং জনসমক্ষে অশান্তিপূর্ণ আচরণ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে কোসকুন বলেন, তিনি একজন নাস্তিক এবং বর্তমানে বৃটেনে আশ্রয়প্রার্থী। তিনি দাবি করেন, তার প্রতিবাদ ছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানের ইসলামপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে।

কোসকুনের আইনগত ব্যয় বহন করছে ফ্রি স্পিচ ইউনিয়ন এবং ন্যাশনাল সেক্যুলার সোসাইটি। তারা বলছে, এই মামলা কার্যত ইসলাম-বিরোধিতা বা ধর্মদ্রোহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে পুনঃপ্রবর্তনের মতো আচরণ। এই রায় অত্যন্ত হতাশাজনক। সকলেরই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও মত প্রকাশের অধিকার থাকা উচিত- সেটা যতটা আঘাতজনক বা অপছন্দনীয় হোক না কেন।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025