আজ শুক্রবার। পবিত্র জুমাবার। আজকের বিষয় ‘মসজিদে ক্বিবলাতাইন’। শীর্ষবিন্দু পাঠকদের জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ‘ইসলাম বিভাগ প্রধান’ ইমাম মাওলানা নুরুর রহমান।
ইসলামী যুগের শুরুতে তৃতীয় মসজিদ ‘মসজিদে ক্বিবলাতাইন। বনু সালামা অঞ্চলে হওয়ার সুবাদে এই মসজিদের প্রথম নাম ছিল- মসজিদে বনু সালামা।
কিবলা’ শব্দটি আরবি। নামাজ আদায়ের দিকনির্দেশকে কিবলা বলা হয়। আর দুটো কিবলা বুঝানো হয় ‘ক্বিবলাতাইন’ শব্দ দ্বারা। আলোচ্য মসজিদে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নামাজ আদায়ের মাঝামাঝি সময়ে কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। এ জন্য মসজিদটির নাম ‘মসজিদে ক্বিবলাতাইন’ অর্থাৎ দুই কিবলার মসজিদ।
এর অর্থ নামাজ আদায়ের দিক নির্দেশক। আর ‘ক্বিবলাতাইন’ শব্দ দ্বারা বুঝানো হয় দু’টি কিবলা। মসজিদে বনু সালামায় রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজরত অবস্থায় কিবলা পরিবর্তন করায় পরে এর নাম হয়েছে মসজিদ আল ক্বিবলাতাইন বা দুই কিবলার মসজিদ।
কিবলা’ আরবি শব্দ। নামাজ আদায়ের দিকনির্দেশকে কিবলা বলা হয়। আর দু’টি কিবলা বুঝানো হয় ‘ক্বিবলাতাইন’ শব্দ দ্বারা। ‘মসজিদ আল ক্বিবলাতাইনে’ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নামাজ আদায়ের মাঝামাঝি সময়ে কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে। এজন্য মসজিদটির নাম ‘মসজিদ আল ক্বিবলাতাইন’। অর্থাৎ দুই কিবলার মসজিদ।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ২৩ সেপ্টেম্বর। হিজরতের দ্বিতীয় বছরের রজব মাসের মাঝামাঝি সময়ে কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে।
গবেষকদের মতে, কিবলা পরিবর্তনের দিন হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই মসজিদে জোহর কারো কারো মতে আসর নামাজ আদায় করছিলেন। জেরুজালেম নগরীর বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদমুখি হয়ে নামাজ আদায় করছিলেন তিনি। দুই রাকাত নামাজ শেষ করেছেন। ঠিক এমন সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে নির্দেশ আসে কিবলা পরিবর্তনের।
রাসূল (সা.)-কে মক্কা নগরীর পবিত্র কাবামুখি হয়ে নামাজ আদায়ের নির্দেশ জানিয়ে দেন হজরত জিবরাইল (আ.)। এই নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে রাসূল (সা.) নামাজের মধ্যেই কিবলা পরিবর্তন করেন। সাথে সাথে পরিবর্তন করেন তার পেছনে নামাজ আদায় করতে থাকা সাহাবিরা। এ ঘটনার পর থেকেই মসজিদটি পরিচিতি লাভ করে ‘মসজিদ আল ক্বিবলাতাইন’ বা দুই কিবলার মসজিদ হিসেবে।

Leave a Reply