বিজ্ঞান নিয়ে তরুণ ও যুব সমাজের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইস্ট লন্ডন মসজিদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘সায়েন্স ফেয়ার’ বা বিজ্ঞান মেলা।
৮ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এলএমসি’র তিনটি হল জুড়ে অনুষ্ঠিত এই মেলায় আড়াই হাজারেরও বেশি তরুণ-যুবক অংশগ্রহণ করেন। মেলার মূল উদ্দেশ্য ছিলো, তরুণ সমাজকে এ কথা বোঝানো যে, ধর্ম ও বিজ্ঞান আলাদা কিছু নয়, বরং একটি অপরটির পরিপুরক।
সাইয়েন্স মেলার আয়োজন সম্পর্কে ইস্ট লন্ডন মসজিদের সিইও জুনায়েদ আহমদ বলেন, এই মেলা মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে আরো সুদৃঢ় করে। আমরা চাই আমাদের তরুণরা যেন গর্বিত মুসলমান হিসেবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রেও অবদান রাখে। তবে তা যেন হয় ইসলামিক শিক্ষার আলোকে, নৈতিকতা ও বিনয়ের সাথে।
মেলার কো-অর্ডিনেটর, ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইয়ুথ এনগেইজমেন্ট কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, দিনব্যাপী পরিবারবান্ধব এই আয়োজনে ছিলো ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টল, লাইভ এক্সপেরিমেন্ট, এবং স্টিম তথা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ক কার্যক্রম।
এসব পরিচালনা করেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং মুসলিম পেশাজীবীরা। এটি শুধু একটি শিক্ষামূলক মেলা ছিল না—বরং ছিলো কৌতুহল, হাতে-কলমে শেখার সুযোগ এবং কমিউনিটির মানুষের শিক্ষার এক সুন্দর উৎসব।
মেলার শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ আলোচনা সভা। ‘তাওহিদ ইন ন্যাচার’-শীর্ষক এই বিশেষ আলোচনার মুল বক্তা ক্যামব্রিজ ইউনির্ভাসিটির বিজ্ঞানী ও মেডিকেল গবেষক ড. ওসাইদ আথার ‘কীভাবে আল্লাহর একত্ব প্রকৃতির সর্বত্র বিরাজমান- তা ধর্ম ও বিজ্ঞানের আলোকে অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেন।
Leave a Reply