শীর্ষবিন্দু নিউজ: এক মাওলানাকে উলঙ্গ করে অশ্লীল ছবি তোলার দায়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মহিলা কাউন্সিলর দিবা রানী দে বাবলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশ গতকাল বিকাল ৪টায় নগরীর যতরপুরস্থ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তবে পুলিশের দায়ের করা মামলাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। দিবা রানী দে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সাজানো মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গত জুন মাসে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। গত ২৭শে জানুয়ারি নগরীর যতরপুর এলাকার মাওলানা আবদুল মতিন কোতোয়ালি থানায় দিবা রানী সহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার বরাত দিয়ে এসআই রবিউল হক জানান, ২৩শে জানুয়ারি কাউন্সিলর দিবা রানী দে বাবলী সহ মনীন্দ্র দে, সুখেশ রঞ্জন, সনৎ রঞ্জন মাওলানা আবদুল মতিনের বাসায় যান। এ সময় তারা বাসার কলিং বেল টিপে ভেতরে ঢুকেই তাকে জিম্মি করে ফেলেন। দিবা রানী দে এ সময় তার লুঙ্গি টান দিয়ে খুলে ফেলেন। এরপর তার সহযোগীরা মোবাইলফোনে অশ্লীল ছবি তোলেন। আবদুল মতিন মামলার এজাহারে তার ছবি উদ্ধারের জন্য পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর গতকাল সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশ দিবা রানী দে যতরপুরস্থ বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে। কাউন্সিলর দিবা রানী দে বাবলী নগরীর যতরপুরের মনীন্দ্র রঞ্জন দে’র স্ত্রী।
মনীন্দ্র রঞ্জন দে’র অভিযোগ, তার বাড়িঘর ও দেবমন্দির জবরদখলসহ তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভূমিদস্যু চক্রের সদস্য আবদুল মতিন মিথ্যা মামলা দিয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।
এদিকে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরবিসিএম-এর সিলেট চ্যাপ্টারের প্রধান ও হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাকেশ রায় জানিয়েছেন, ঘটনাটি সাজানো। এব্যাপারে আজ রোববার তারা সিলেটে কর্মসূচির ডাক দেবেন।