শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: আবার তুষারপাতে অচল হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জীবনযাত্রা। শীতকালীন ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুতহীন দিনাতিপাত করছেন। ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক তুষারপাতের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে।
শনিবার সকাল থেকে পুনরায় তুষারপাত শুরু হওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ট্যাক্সিচালকরা, যাদের ২০ শতাংশই বাংলাদেশি। তুষারপাতে সড়কে কয়েক ফুট পুরু বরফ জমেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনি ও রোববারের অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে দুর্যোগের কারণে। বিভিন্ন শহরের স্কুলও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ২ হাজারের বেশি ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সবচেয়ে বেশি দুর্যোগময় এলাকা হচ্ছে ইস্ট কোস্ট, নিউ ইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চলতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ তুষারপাত হয়। এ মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন, ডেট্রয়েড, বোস্টন, শিকাগো, নিউইয়র্ক এবং সেন্ট লুসে ব্যাপক মাত্রায় তুষারপাত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন শহরে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, পেনসিলভানিয়ায় ৫৭ সে.মি, নিউইয়র্কে ৬৮ দশমিক ৫ সে.মি, ওয়াশিংটন ডিসিতে ২৩ সে.মি এবং নিউইয়র্ক সিটিতে ২৫ সে.মি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়। দুদিন আগে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত টানা তুষার ঝড়ে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসেলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসী, জর্জিয়া, লুইজিয়ানা, মেইন, টেক্সাস, কানেটিকাটে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বিদুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা সম্ভব হলেও সাউথ এবং নর্থ ক্যারোলাইনার ২ লাখ বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শনিবার পর্যন্ত অন্ধকারেই রয়েছে বলে অঙ্গরাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে। এই দুর্যোগে ৩ লক্ষাধিক বাংলাদেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, বিশেষ করে ট্যাক্সিচালকরা।
এই দুর্যোগে বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়। শুক্রবার বাতিল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১৫০০। সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল চালু হলেও শনিবার ফের তুষারপাত শুরু হওয়ায় অনেক যাত্রী বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক লুইস উসেলিনি বলেছেন, তুষার ঝড় এবং তুষারপাতের এমন উপর্যুপরি ঘটনা শতাধিক বছরের বছরের ইতিহাসে নেই।