লাক্সতারকা ও অভিনেত্রী সুমাইয়া আজগার রাহার রহস্যজনক মৃত্যুর পর এখন অনেক কথাই ভাসছে আকাশে বাতাসে। পারিবারিকভাবে আর্থিক সংকটে থাকা রাহা একপর্যায়ে নানা প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন। বিচরণ শুরু করেছিলেন অন্ধকার জগতে। বাসায় ফিরতেন মধ্যরাতে। প্রভাবশালী কয়েকজনের কারণে মানসিকভাবে বেশ অস্থির ছিলেন রাহা। হয়ে যান অন্ধকার জগতের বাসিন্দা।
কিন্তু রাহার এমন বেপরোয়া চলাফেরা ধরা পড়ে প্রেমিক সাকিবের চোখে। এরপরই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এমন দোলাচলে সাকিবকে নিয়েই সুখি হতে চেয়েছিলেন রাহা। কিন্তু এতে বাধ সাদে সুযোগ-সন্ধানী একটি প্রভাবশালী গ্রুপ। একে একে রাহার কাছ থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেন। বন্ধ করে দেন আর্থিক সুযোগ-সুবিধা। শুধু তাই নয়, রাহাকে দেয়া দামি গাড়ি ফিরিয়ে নেন এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। আরেক প্রভাবশালী ফেরত নেন তার জাপান গার্ডেন সিটির একটি ফ্ল্যাট। পাশাপাশি বাংলা সিনেমার এক নায়কের সঙ্গেও রাহার ঘনিষ্ট সম্পর্ক পুলিশের নজরে এসেছে। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের হাতেও এসেছে রহস্যময় নানা তথ্য।পুলিশের কাছে তথ্য, রহস্যময় সম্পর্কের দুর্ভেদ্য জালে জড়িয়ে ছিলেন রাহা।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, রাহার মৃত্যুর পর প্রভাবশালী ঐ পক্ষটির পরামর্শে ও আর্থিক সাহায্য গোপনে রাহার মরদেহ মাটিচাপা দেয় তার পরিবার। মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, শেষের দিকে রাহার চলাচল ছিল হাই প্রোফাইলের লোকজনের সঙ্গে। প্রায় প্রতি রাতেই অভিজাত এলাকার বিভিন্ন বার, রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবে তার উপস্থিতি দেখা গেছে। তাছাড়া রাহার মোবাইল ফোন ঘেটেও রহস্যময় অনেককিছু পেয়েছে পুলিশ। কারণ দু-একজন ঘনিষ্ঠ লোক ছাড়া কারও ফোনে কথা বলতেন না রাহা।
Leave a Reply