শীর্ষবিন্দু নিউজ: রমনা থানার পরিবাগ মোড়ে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যাসহ ৩টি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। আসামিপক্ষে জামিনের শুনানি করেন, সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, সানাউল্লাহ মিয়া, মহসীন মিয়া, খোরশেদ আলম প্রমুখ আইনজীবী। দুপুর ১টার দিকেই তাদের সিএমএম আদালত হতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রমনা থানার ৭(১)১৪ নম্বর মামলার আসামি মির্জা ফখরুল। রমনা থানার ৪২(৯)১৩ নম্বর মামলার আসামি আব্দুস সালাম এবং ওই দুটি মামলাসহ অপর একটি মামলার আসামি মির্জা আব্বাস। তিনটিই হত্যা মামলা। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালতে রোববার জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৩ জানুয়ারি রমনা থানার পরিবাগের মোড়ে যাত্রীবাহী বাসে মানুষ হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুলের নাম থাকলেও এফআইআর’এ কোন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনায় ফরিদ মিয়া, শাহিনা আক্তার ও বাবুল নামে তিনজন বাসযাত্রী দগ্ধ হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে শাহিনা আক্তার মারা যান। গত বছরের ৩০ নভেম্বর রাজধানীর ডিআইডি রোডে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় একটি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসে আগুন ধরে গেলে ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিকশা চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে হাবিবুর রহমান নামে একজন নিহত হন। পোড়া আহত হন অনেকে। এ মামলায় মির্জা আব্বাস আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলামোটর মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের রিক্যুইজিশন করা গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল ফেরদৌস পুড়ে মারা যায়। এ তিনটি মামলাতেই মির্জা আব্বাস আসামি। এর আগে এ সব মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন তারা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ জামিন বাতিল করে দিলে তিনি সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিন আবেদন করেন।