সাব্বির আহমদ: ভেঙে পড়েছে দলের চেইন অব কমান্ড। কেউ মানছেন না কারও নির্দেশনা। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশও শোনার সময় নেই কারও। উপজেলা নির্বাচনে দল মনোনয়ন দেয় একজনকে তো আরেকজন দাবি করে বসেন তিনিই দল মনোনীত প্রার্থী। এসব দ্বন্দ্বের সমাধান দিতে পারছে না দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এরকমই বেহাল দশা সিলেট জেলা বিএনপির। বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি দিলদার হোসেন সেলিম বাংলানিউজের কাছে হতাশা ব্যক্ত করেছেন দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি নিজেও বিব্রতবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে দলের নির্দেশ না মেনে প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছিলো সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদকে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হওয়ায় অল্প ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে ১৯ দল মনোনীত প্রার্থী মাওলানা লোকমানকে। নিজ দলের হাইকমান্ডে এজন্য নিগৃহিত হয়েছেন আলী আহমদ। বহিষ্কৃত এই আলী আহমদ এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
তিনি আপাতত মুখ না খুললেও তার ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে শিগগিরই আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন- এমনটি জানিয়েছে নির্ভরশীল সূত্র। সিলেট বিএনপির দায়িত্বে থাকা দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে বনিবনা ঠিকমতো না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা।
অন্যদিকে সিলেট সদর সদর উপজেলায় ১৯ দলীয় জোট বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীমকে প্রার্থী ঘোষণা করে। কিন্তু জোটের এই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেকে ১৮ দলের প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠে নামেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদা।
জেলা বিএনপি এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় নেতাও নুরুল হুদার পক্ষে মাঠে নামেন। এবার নুরুল হুদাকেই দল মনোয়ন দিয়ে কাহের শামীমকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে রটেছে। বিএনপির লোগোযুক্ত প্যাডে পত্রিকায় এসব বহিষ্কার আর প্রত্যাহারের খবরও প্রকাশিত হচ্ছে।