শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: রিয়াদের ওই কবরস্থানটিতে আব্দুল্লাহর পরিবারের অন্যান্য অনেক সদস্য শায়িত আছেন। কবরস্থানটি দেশের অন্য কবরস্থানগুলোর মতই। বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম বাদশাহ আব্দুল্লাহর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কাজ অত্যন্ত সাদাসিদেভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণ একটি স্ট্রেচারে করে আনা হয় তার মৃতদেহ।
নগরীর অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহটি নেয়া হয় মসজিদে। সেখানে বাদ আছর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাদশাহ আব্দুল্লাহর মৃতদেহ কবরস্থানে নিয়ে যান। তারপর কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তাকে অন্তিম শয্যায় শায়িত করা হয়।
নিজের অন্যান্য ভাইদের তুলনায় অত্যন্ত সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন বাদশাহ আব্দুল্লাহ। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পরিবারের অনেক সদস্যদের অপব্যয় কমিয়ে আনেন তিনি। তিনি যুবরাজদের নিজেদের ফোন বিল নিজেদের বহন করার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ন্যাশনাল এয়ারলাইনে করে ভ্রমণের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আদুলআজিজের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক জানাতে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শোকসন্তপ্ত রাজপরিবারের সদস্যদের সমাবেদনা জানানোও রাষ্ট্রপতির এ সফরের লক্ষ্য।
রাষ্ট্রপতি হামিদ শনিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বলে তার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হয়েছেন।