স্বদেশ জুড়ে সংসদ সংবাদ: নির্বাচনী মাঠে রাজনীতি থেকে ইতি টানলেও শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় থাকবেন বলে জানিয়ে সংসদ নির্বাচনে আর অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসনের সংসদ সদস্য বর্তমান বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী মঙ্গলবার সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় দাঁড়িয়ে বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্বাচনী রাজনীতিতে আর অংশ নেবো না। তবে দলীয় রাজনীতিতে শেখ হাসিনা যে নির্দেশ দেবেন, তা সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।
সংসদে বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকী ’৮০ এর দশকে প্রবাসে থেকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার বিরোধিতা করার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি নিজেই সংসদে দাড়িয়ে বললেন, আমি দিল্লিতে উনাকে ৪২ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে বলেছিলাম যে, আমি আপনাকে সভাপতি হিসাবে সমর্থন করি না’। কিন্তু পরে আমি আপনাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে মেনে নিয়েছিলাম। লতিফ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। তার ছোট ভাই আব্দুল কাদের সিদ্দিকীও এক সময় আওয়ামী লীগে ছিলেন। পরে তিনি কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ নামে আলাদা দল গড়েন।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় ‘সংস্কাররপন্থীদের’ বিরোধিতা করে শেখ হাসিনার পক্ষে যে কয়েকজন নেতা দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন, তার একজন লতিফ সিদ্দিকী। হয়তো এজন্য শেখ হাসিনার খুবই আত্নাবাজন ব্যাক্তি হিসেবে আওয়ামীলীগ পরিবারে খুবই পরিচিত। সামরিক শাসনামলে অনেক দিন লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে কাটাতে হয়। তার স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী এরশাদ আমলে জাতীয় পার্টির হয়ে মহিলা সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রিতিহিংসার স্বীকার হয়ে লতিফ সিদ্দিকী অনেক সময় কারাবরণ করেন এমন কি বিদেশও দেশান্তরিক হতে হয়েছে তাকে। এমন কথাগুলো মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে দাড়িয়ে আক্ষেপের সুরে সংসদে তুলে ধরেন।
Leave a Reply