শীর্ষবিন্দু নিউজ: বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের জনপ্রতি বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় ১১৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৫০০ টাকার সমপরিমাণ। সোমবার জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করে আসছে। ১৯৭২ সাল থেকে এপ্রিল, ২০১৩ পর্যন্ত ৫৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সাহায্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৩৪ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ২৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান। তিনি বলেন, বৈদেশিক সাহায্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যয় জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুর্বত্ব পূর্ণ অবদান রেখেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধের জন্যে ৭ হাজার ৯০৫ ও ১ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রক্কালে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৩৪৯ দশমিক ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ১৫ হাজার ৩৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। সংরক্ষিত সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের টেবিলে উত্থাপিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, বর্তমানে দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৫৪টি এবং আরে ২টি ব্যাংকের লাইসেন্স ইস্যুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া নতুন আর কোনো ব্যাংকের অনুমতি প্রদানের বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেই। বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য নিলুফর চৌধুরী মনির টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে সরকার তফসিলি ব্যাংক হতে মোট ৬৯ হাজার ৪৭৯ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা ঋণগ্রহণ করেছে এবং ৪৭ হাজার ৬৬২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে। সরকার তফসিলি ব্যাংক হতে নিট ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৩২ লক্ষ ঋণ গ্রহণ করেছে। বাজেট ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এ ঋণ গ্রহণ করেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
Leave a Reply