শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া টাইসের বরাত দিয়ে জানা যায়, ভারতের উত্তরখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশতাধিক। এছাড়া পাহাড় ও সেতু ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আটকা পড়েছেন তীর্থযাত্রীসহ সহস্রাধিক মানুষ।
এনডিটিভির প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ি এলাকায় বন্যার পানির তোড়ে মাটি সরে যাওয়ায় একটি তিনতলা ঘরবাড়ি ধসে পড়ছে। বহু যানবাহন খেলনার মতো ভেসে যাচ্ছে। উত্তরখণ্ডের সরকারি কর্মকর্তা পিয়ুস রোটেলা বিবিসিকে জানিয়েছেন, রুদ্রপ্রাগ ও কেদারনাথ অঞ্চলের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এসব এলাকার সেতু ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ২০ হাজার পূণ্যার্থী যাত্রাপথে আটকা পড়েছেন। আটকা পড়া তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে বিমানের মাধ্যমে খাবার ও পানির বোতল ফেলতে শুরু করেছে। রোববার থেকে বৃষ্টি চলছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং মুম্বাইয়েও। দিল্লিতে বিমানবন্দরের একাংশসহ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরখণ্ড, হিমাচলসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে আরো দুদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, চলতি মাসে ভারতে ৮৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে উত্তরখণ্ডে মোট ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। প্রদেশের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় পানির তোড়ে ভেসে গেছেন ডজনখানেক মানুষ। আলমোরায় বাসের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে নিহত হয়েছেন তিনজন। এ প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বসতবাড়ি ও রাস্তঘাট ভাসিয়ে নিয়ে গেছে প্রবল ঢল।
উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও ভারী বর্ষণ এবং হরিদুয়ারে গঙ্গা ও হরিয়ানায় যমুনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে হিমালয় পাদদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের চার তীর্থস্থান বদ্রিনাথ, কেদার নাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীতে তীর্থযাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ভারতে সাধারণত জুনের শেষভাগ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত চলে। তবে এবার দুই সপ্তাহ আগেই প্রবল বৃষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছে মৌসুমী বায়ু।
Leave a Reply