শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: এইচ এস নামক ওই সার্জেন্ট (অভিযুক্ত প্রত্যেকের ইংরেজি নামের আদ্যাক্ষর প্রকাশ করা হয়েছে) দুবাই পুলিশ ট্রাফিক সিস্টেমে হ্যাকিং করে গাড়িগুলোর জন্য ভুয়া ওয়ারেন্টের কাগজ বের করে। ওয়ারেন্ট দেখিয়ে টেকনিশিয়ানকে দিয়ে বিকল্প চাবি তৈরি করে নেয়। পরে বিকল্প চাবি দিয়ে গাড়িগুলো চুরি করে বিক্রি করে দেয়। কমপক্ষে ৬৭টি গাড়ি চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ এসেছে দুবাইয়ের এক পুলিশ সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
চার্জশিটে বলা হয়, এইচ এস ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং অবৈধভাবে সহকর্মীর কম্পিউটার থেকে গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছে। এছাড়াও পুলিশ ডকুমেন্ট নকল করার অভিযোগ আনা হয়েছে এইচ এসের বিরুদ্ধে। অপরাধ কর্মে তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য অপর তিন জন সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার হলেন, সৌদি আরবের এস কে (২৫), ওমানের এস জি (২২) এবং কমোরোস আইল্যান্ডের এইচ আই। ৮টি পৃথক মামলায় এ চার অভিযুক্তকে দুবাই কোর্টে হাজির করা হয়। প্রত্যেকটি মামলার প্রধান আসামি এইচ এস প্রথমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও পরে মামলার শুনানিতে অপরাধ স্বীকার করে। গাড়ি বিক্রির টাকা দিয়ে ৩,৬০,০০০ দিরহাম ঋণও শোধ করেছে বলে জানায় সে। এইচ এস আরও দাবি করে একসময় অনুশোচনায় তার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। অভিযুক্ত চারজনকে শুনানির পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
শুনানিতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার দুই সহকর্মী এস কে এবং এইচ আই তাকে রাস্তায় পড়ে থাকা পরিত্যক্ত গাড়িগুলো চুরি করার বুদ্ধি দেয়। অনেক ঋণে জর্জরিত হয়ে এমন করতে বাধ্য হয় বলে সে দাবি করে। যেসব গাড়ির লোন পরিশোধ হয়নি সেগুলোকে বাজেয়াপ্ত করতে আদালত থেকে আদেশ জারি করা হয়ে থাকে। বাজেয়াপ্তের আদেশ হওয়া পরিত্যক্ত গাড়িগুলো শনাক্ত করে এ যাবত প্রায় ৭০টি গাড়ি চুরি করে সে। চুরি করার পর গাড়িগুলো এস কে এবং এইচ আইর কাছে হস্তান্তর করে এবং তারা গাড়িগুলো বিক্রি করে দেয়।
Leave a Reply