শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:২৯

ইমা’র প্রতারণার কৌশল- টাকা ছাড়া ফাঁকা চেক

ইমা’র প্রতারণার কৌশল- টাকা ছাড়া ফাঁকা চেক

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রেজওয়ানা খালেদ ইমা ও তার পরিবারের প্রতারণার আরও অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে। গতকাল নজরুল ইসলাম নামে এক যুবক পাঁচ লাখ  টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৬ সালে ইমা চলাফেরা করতো বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংকের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রভাব বলয়ে। সেই সুবাদে বাংলালিংকের অফিসে চাকরি দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু চাকরি দেয়নি। ওই টাকা ফেরত চাইলে নানা ধরনের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন, টাকা ছাড়া আর কোন কিছুতে রাজি না হলে একটি চেক দেয়। ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে জানানো হয়, তার নামে কোন টাকা নেই। একই ধরনের অভিযোগে মামলা করেছেন ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ- ইমা, তার ভাই তানভীর খালেদ ও তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের যোগসাজশে প্রায় ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ইমা ও তানভীরের বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার দুরমুঠ গ্রামে। থাকতো রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন পুরাতন ডিওএইচএসের ৪ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাড়িতে। ২০০৯ সালের জুন মাসে শারমীন আক্তার নামে এক মহিলার মাধ্যমে ইমা ও তানভীরের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে জানতে পারেন ইমা ও তানভীর ওয়ার্ক পারমিটসহ বৈধভাবে বিদেশে লোক পাঠায়। তখন ইসমাইল হোসেন, তার ছোট বোন শেফুল বেগম ও শারমিনকে নিয়ে বনানী থানাধীন ৩৬ নম্বর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ’র ইকবাল টাওয়ারের ৭ম তলায় যান। সেখানে ইমা সুসজ্জিত একটি অফিসকে তার নিজের অফিস বলে পরিচয় দেয়। এসময় তারা ৪৫ দিনের মধ্যে ইতালিতে লোক পাঠাতে পারবে বলে প্রলোভন দেখায়। ইসমাইল হোসেন বলেন, তাদের প্রলোভনে সম্মত হয়ে ২০০৯ সালের ১৫ই জুলাই ১২ লাখ টাকা দেই। পরে ২০শে জুলাই আরও ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেই। ওই টাকা দেয়ার নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও আমার দুই ভাগিনাকে ইতালিতে পাঠাতে পারিনি। পরে টাকা ফেরত চাইলে তারা বিভিন্ন তারিখ দিয়ে দেই দিচ্ছি করে সময়ক্ষেপণ করে।

এক পর্যায়ে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি- আমার মতো আরও অসংখ্য লোকজনের কাছ থেকে তারা কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর এক পর্যায়ে আমিসহ আরও কয়েকজন পাওনাদার টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে ২০০৯ সালের ২৮শে নভেম্বর ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টাকা ফেরত দেবে বলে স্বাক্ষর করে। একই সঙ্গে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের একটি চেকে দুই লাখ টাকা ও  ইস্টার্ন ব্যাংকের দু’টি চেকে দুই লাখ টাকা ও পাঁচ লাখ করে মোট ৭ লাখ টাকার চেক দেয়। ওই চেকগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, উক্ত অ্যাকাউন্টগুলোতে কোন টাকা নেই। এরপর আসামিদের কাছে ফের টাকা চাইতে গেলে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে ভয়-ভীতি দেখায়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, নানা কৌশলে তানভীর খালেদ টাকা নিতো। পরে ওই পাওনাদারদের যোগাযোগ করার জন্য নিজের বোন ইমা’র মোবাইল ফোন নম্বর দিতো। ইমা তার নিজের বহুরূপের ছলনায় পাওনাদারকে কাবু করার চেষ্টা করতো। নিজে সন্তুষ্ট করতে না পারলে তার কব্জায় থাকা শতাধিক ‘চিয়ার্স গার্ল’ প্রলোভন দেখাতো।

সূত্র: মানবজমিন

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024