শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে জয়ের পর সোমবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মধ্যপন্থী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা পারমাণবিক আলোচনা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে রুহানি পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধের কথা নাকচ করে দিলেন। তবে তিনি বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর উদ্বেগ হ্রাসে একটি আগাম চুক্তিরও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ইরান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে পিছু হটবে না। রুহানির পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালু করেন এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল্টিমেটাম সত্ত্বেও তা অব্যাহত রাখেন। ফলে দেশটির ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে। রুহানি বলেন, ইরানের তেল ও ব্যাংকিং খাতের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অযৌক্তিক। তবে এসব সমস্যা সমাধানে আলোচনার অঙ্গীকারও করেন তিনি।
তিনি বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের মৈত্রী সম্পর্কেও কোন হেরফের হবে না। আসাদ বর্তমানে পশ্চিমাদের অতিরিক্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তিনি গত দুই বছর ধরে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে উৎখাত করতে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের সাহায্যকারী উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ারও আগ্রহ ব্যক্ত করেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান আন্তর্জাতিক আইনের রূপরেখার মধ্যেই যে তার কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তা আরো স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে। অর্থাৎ আরো সক্রিয় আলোচনায় অংশ নেবে ইরান। রুহানি ২০০৩-২০০৫ পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির অধীনে দেশটির প্রধান পারমাণবিক আলোচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
Leave a Reply