শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: তুমুল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার তোড়ে ও ভূমি-ধসে রাস্তাঘাট ও সেতু ভেসে যাওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ধে জানান। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর ভারতের রাজ্য উত্তরাখান্ডে প্রলয়ঙ্করী বন্যা আর ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশ ছাড়িয়ে গেছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, বন্যার আঘাতে হিন্দুদের তীর্থস্থান কেদারনাথের আশেপাশে প্রায় ৬০টির মতো গ্রামের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এখনো কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। হরিদ্বারে গঙ্গায় ৪০টির বেশি মৃতদেহ শুক্রবার ভেসে এসেছে। তুমুল বৃষ্টিপাতের ফলে রবিবার আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটলে বহু মানুষ প্রাণ হারান, আটকে পড়েন অনেক তীর্থযাত্রী এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেক মানুষ বলে জানা যায়।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে কেদারনাথ এলাকায় মূল উদ্ধারকাজ এখনো শুরু করা যায়নি বলে ভারতীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে। আবহাওয়া ভালো হলে শনিবার থেকে তারা বিমান নিয়ে উদ্ধারকাজ চালাতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্র মতে, যত প্রাণহানির কথা বলা হচ্ছে বা অনুমান করা হচ্ছে, উত্তরাখন্ডে তার চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা যে অনেক বেশি, এই আশঙ্কাও এখন ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েকদিনে ৩৩ হাজার তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা এই আকস্মিক বন্যাকে ‘হিমালয়ের সুনামি’ বলে বর্ণনা করেছেন। এই সময়টি ছিল পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের জন্য ভরা মৌসুম। এ সময় মূলত ওই ধর্মশালাগুলোতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ থাকেন। কেদারনাথের ৯০টি ধর্মশালার একটিও অবশিষ্ট নেই।
Leave a Reply