শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগের গোপন তথ্য ফাঁস করা আলোচিত সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন ইকুয়েডরে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। স্নোডেনের আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়টি এক টুইটার বার্তায় নিশ্চিত করেছেন সে দেশের পররাষ্টমন্ত্রী। মস্কো বিমানবন্দরে ইকুয়েডরের কূটনৈতিক পতাকাবাহী একটি গাড়ি দেখা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিএনএন প্রতিনিধি।
টুইটারে তিনি টুইট করেন, ‘তথ্য ফাঁসের পর গত মাসে স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হংকংয়ে পালিয়ে এলেও রোববার সকালে তিনি মস্কোতে এসে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে ইকুয়েডরে যেতে পারেন তিনি। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের সূত্র মতে, স্নোডেন যেখানে অবস্থান করছেন, সে দেশগুলোর সরকারকে বোঝানো হবে যে, স্লোডেন একজন গুরুতর অপরাধী। অপরদিকে, যে এলাকা দিয়ে স্নোডেনের যাওয়ার কথা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সে দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ইতোমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র স্নোডেনের পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। একটি শান্তিকামী সংঘের দাবি, স্নোডেন ইকুয়েডরে প্রবেশ করা মাত্র তার প্রার্থনা আপনা আপনিই কার্যকর হয়ে যাবে।
স্নোডেনকে ফিরিয়ে দেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আবেদন হংকং প্রত্যাখ্যান করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে যেন স্নোডেনকে তারা ফিরিয়ে নিতে পারেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ স্নোডেনকে ফেরত না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে। মার্কিনি বিচার বিভাগ আশা করছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে স্লোডেনকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, অপরাধীর পাসপোর্ট প্রত্যাহার করা রুটিন কাজের একটি। তিনি স্নোডেনের নাম না উল্লেখ করে বলেন, গুরুতর অপরাধ করলে যে কারো পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নেওয়া যায়। ফলে, যে কোনো আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলে তাকে আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া যায়।
এদিকে, ভিয়েতনাম সফরে থাকা ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো প্যাশিনো টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, ইকুয়েডর সরকার সে দেশে স্নোডেনের আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ করেছে।
অপরদিকে, উইকিলিকস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্নোডেন যদি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য ইকুয়েডরকে বেছে নেয়, তাহলে উইকিলিকস তাকে নিরাপত্তাসহ কূটনৈতিক ও আইনগত সহায়তা দেবে। ইতোমধ্যে, ইকুয়েডর সরকার উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। এর ফলে তিনি গত বছর থেকে ওই দেশের যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে বসবাস করছেন।
Leave a Reply